শুভব্রত মুখার্জি: সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার। গত বছর ওডিআই বিশ্বকাপে ভালো খেলেও ফাইনালে উঠে হারতে হয়েছে ভারতকে। দক্ষিণ আফ্রিকাতে টেস্ট সিরিজ জয়ও থেকে গিয়েছে অধরা। নতুন বছরে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হারতে হয়েছে ভারতকে। পাশাপাশি ব্যাটেও খুব বেশি রান নেই রোহিত শর্মার । সবমিলিয়ে একটু হলেও সমস্যায় রয়েছেন রোহিত। ঘরে-বাইরে বাড়ছে চাপ। এমন অবস্থায় রোহিত শর্মাকে চরম কটাক্ষ করেছেন প্রাক্তন ইংরেজ কিংবদন্তি জিওফ্💟রে বয়কট। তাঁর মতে রোহিত শর্মা তাঁর সেরা সময়কে পিছনে ফেলে এসেছেন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্ট ম্যাচে রোহিত ২৪ এবং ৩৯ রান করেছেন। শুরুটা ভালো করলেও বড় রান করতে পারেননি তিনি। আর এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই রোহিতকে কার্যত একহাত নꩲিয়েছেন বয়কট। এক সাক্ꦫষাৎকারে বয়কট জানিয়েছেন ফিল্ডিং বিভাগে দুর্বল হয়ে পড়েছে ভারতীয় দল। তাঁর মতে প্রথম টেস্টে বারবার বিরাট কোহলির অভাব অনুভূত হয়েছে। চোটের জন্য কেএল রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজাকে পাচ্ছে না ভারত। বয়কট মনে করেন তাঁর অভাবও অনুভব করবে টিম ইন্ডিয়া।
দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জিওফ্রে বয়কট জানিয়েছেন, ‘ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার বয়স এখন প্রায় ৩৭। চটজলদি কয়েকটা ইনিংস খেলেছে ঠিকই। ঘরের মাঠে শেষ চার বছরে মাত্র ২টো শতরান করেছে র🍸োহিত। ও ওঁর সেরা সময়টা পিছনে ফেলে এসেছে। পাশাপাশি আমি এটাও বলব যে ভারতের ফিল্ডিং খুবই দুর্বল। ফলে ইংল্যান্ডের সামনে এখনও বড় সুযোগ। সুযোগ রয়েছে এই টেস্ট সিরিজ জয়ের। বিরাট কোহলির অভাব নিঃসন্দেহে বোধ করবে ভারত। জাদেজাও দ্বিতীয় টেস্টে নামতে পারছে না। এটাও ভারতের জন্য বড় ধাক্কা। জাদেজা দুর্দান্ত একজন অলরাউ⭕ন্ডার। ও দারুণ একজন বোলার। পাশাপাশি সেই সঙ্গে খুবই ভালো ফিল্ডার। প্রথম টেস্টে রবীন্দ্র জাদেজাই ভারতের অন্যতম সেরা ব্যাটার ছিল।’
জিওফ্রে বয়কট আরও যোগ করে বলেন, ‘কোহলি অসাধারণ একজন ব্যাটার। ভারতের পিচে কোহলির ব্যাটিং গড় ৬০। মাঠে কোহলির উপস্থিতি দলকে উজ্জীবিত করে, চাঙ্গা করে। ওর না থাকা ভারতের জন্য বড় ধাক্কা। তৃতীয় টেস্টে কোহলি ফেরার আগে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটাও জিতে নাও (ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকসের প্রতি আবেদন)। আমি মনে করি ইংল্যান্ডের সামনে সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে ১২ বছরে প্রথম সফরকারী দল হিসেবে ভারতের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ জয়ের। ভারতীয় দল ওলি পোপের ক্যাচ ফেলে দেয় ১১০ রানে🎃র। মাথায় যা তাদের আরও ৮৬ রানের ক্ষতি করে। আর এর ফলেই ভারত কিন্তু প্রথমꦿ টেস্টে হেরে গিয়েছিল। ইংল্যান্ডের ব্যাটার সুইপ এবং রিভার্স সুইপ মেরে ভারতীয় বোলারদের দিশেহারা করে দেয়। ফলে ১৯০ রানে পিছিয়ে থেকেও তারা দারুণ কামব্যাক করে ম্যাচ জিততে সমর্থ হয়েছে।’