সলমন খানের ‘দাবাং' ছবির বিখ্যাত একটি সংলাপ ছিল, যেখানে তিনি বারবার বলতেন, ‘কামাল করেছেন পান্ডে জি।’ ভারতীয় ক্রিক🌳েটের ‘পান্ডে জি’ অর্থাৎ মণীশ পান্ডে মহারাজা টি-টোয়েন্টি ট্রফির ফাইনাল ম্যাচে এমনই একটি কীর্তি করে ফেলেছেন। দলকে জয়ী করতে নিজের সেরাটা দিয়েছন তিনি। একটি নিশ্চিত ছক্কা বাঁচাতে বাউন্ডারি লাইনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মণীশ পান্ডে। হাওয়ায় উড়ে অবিশ্বাস্য ফিল্ডিং-এর মাধ্যমে বাঁচিয়েছেন একটি নিশ্চিত ছক্কা। এমন একটি দৃশ্য যা সকলইকেই অবাক করে দিয়েছে। মণীশ পান্ডের এই ফিল্ডিং এবং এই প্রচেষ্টা তাঁর দলের সকলকে উৎসাহিত করেছিল। সেই কারণেই রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল ম্যাচে মনীশ পান্ডের দল হুবলি টাইগার্স চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
২৯ অগস্ট সন্ধ্যায় মহারাজা টি-টোয়েন্টি ট্রফির ফাইনালে মাইসোর ওয়ারিয়র্সের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েছিল হুবলি টাইগার্স। ম্যাচে মণীশ পান্ডের দল হুবলি টাইগার্স প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০৩ রান করে। জবাবে, মাইসোর ওয়ারিয়র্সও জয়ের জন্য পুরো জোর দিয়েছিল। যে কারণে শেষ চার বলে তাদের দরকার ছিল মাত্র ১১ রান। ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে, শেষ চার বলে ১১ রান করতে হত মাইসোর ওয়ারিয়র্সদের। মাইসোরের ব্যাটসম্যানরাও এটি অর্জনের চেষ্টা করেছিলেন। একটি লম্বা ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, সেই ছক্কা ও বাউন্ডারি লাইনের মাঝেই দাঁড়িয়েছেন হুবলি টাইগার্সের অধিনায়ক মণীশ পান্ডে। বল বাউন্ডারি পার হওয়ার আগেই ঝাঁপিয়ে পড়♕েন মণীশ পান্ডে।
মণীশ পান্ডে হাওয়ায় ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং বলটি বাউন্ডারির উপর দিয়ে যাওয়ার আগেই থামিয়ে দেন। ক্যাচ ধরতে না পারলেও সেটিকে আটকে দেন তিনি। দলের জন্য ৫ রানও বাঁচিয়ে দেন তিনি। তাঁর সেভ করা ৫ র🔴ানের ফল পায় মণীশ পান্ডের দল হুবলি টাইগার্স। কারণ এর ফলে মহারাজা টি-টোয়েন্টি লিগের ফাইনাল ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ৮ রানে জিততে সক্ষম হয় হুবলি টাইগার্স।
অধিনায়ক হিসাবে এই সুন্দর প্রচেষ্টা মণীশ পান্ডেকে ম্যাচের নায়ক করে তোলে। কারণ মণীশ পান্ডের এই প্রচেষ্টা তাঁর দলকে মহারাজা টি-টোয়েন্টি ট্রফির চ্যাম্পিয়ন করেছে। এই দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের আগে ব্যাটেও শক্তিশালী দক্ষতা দেখিয়েছিলেন মণীশ পান্ডে। মাত্র ২৩ বলে ৫০ রান করেন তিনিꦫ। ২১৭.৩৯ স্ট্রাইক রেটে খেলা তার ইনিংসে ছিল চারটি ছক্কা এবং তিনটি চার।