চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় জয় পেয়েছে ভারত। অসাধারণ ব্যাটিং করে নজর কেড়েছেন বিরাট কোহলি। ১১১ বলে ১০০ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এটি তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের ৮২ তম শতরান ছিল। বিরাটের পারফরম্যান্স দেখে বেশ খুশি প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্য⭕োৎ সিং সিধু। তিনি বলেন, বিরাটের মতো ক্রিকেটার প্রজন্মে একবারই হয়। অস্ট্রেলিয়া সফরে খারাপ পারফরম্যান্সের পর সমালোচনা শুরু হয়েছিল বিরাটকে নিয়ে। বারবার অফ-স্টাম্পের বাইরের বলে আউট হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। নিজেও হতাশ ছিলেন এই বিষয়ে। এরপর দেশে ফিরে রঞ্জি খেলেন কোহলি। সেখানেও রান পেতে ব্যর্থ হন।
এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজে ২টি ম্যাচ খেলেন বিরাট। যেখানে সিরিজের শেষ ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। তখনই বোঝা যাচ্ছিল ফর্মে ফিরছেন এই তারকা ব্যাটার। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে রান পেতে ব্যর্থ হন বিরাট। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠে তাঁর ব্যাট। জিও হটস্টারে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সিধু বলেন, ‘চরিত্র কখনও কঠিন পরিস্থিতিতে তৈরি হয় 💎না। এটা সহজাত। বিরাটের মধ্যে প্রচুর প্যাশন রয়েছে। আজকের শতরানের পর আমি এটা বলতে পারি যে সে আগামী দুই-তিন বছর খেলবে এবং আরও ১০-১৫টি সেঞ্চুরি হাঁকাবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘একজন ক্রিকেটার তার খারাপ সময় কিভাবে✤ কাটিয়ে ওঠে সেটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ অর্থাৎ সিধুর কথা যদি মিলে যায়, তাহলে বিরাটের সেঞ্চুরিরও ‘সেঞ্চুরি’ হবে।
২০২০ সালের পর থেকে কোহলির টেস্ট ক্রিকেটে খারাপ সময় শুরু হয়। রান পেতে ব্যর্থ হন তিনি। যার প্রভাব লক্ষ্য করা যায় তাঁর পরিসংখ্যানে। গত বছর নিউজিল্যান্ডে এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের সিরিজ হারের পর যেন আরও বেশি করে কথা শুরু হয় কোহলির ফার্ম নিয়ে। সিধু বলেন, ‘গত ছয় মাসে ওকে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইনিংসটা তাকে অক্সিজেন দেবে, আগামী ১০ বছর লোকে এটা মনে রাখবে। আপনি যদি ওর ড্রাইভ দেখেন তাহলে সেই পুরোনো বিরাটকে খুঁজে পাবেন। এরাই সেই খেলোয়াড় যারা তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। যেকোনও খেলার উন্নতির জন্য রোল মডেলের প্রয়োজন হয়, যে সবকিছুর উর্ধ্বে থাকে। বিরাট কোহলির মতো খেলোয়াড় প্রজন্মে একবার আসে। ও কোহিনুর।’ বিরাট একাধিক রেকর্ড গড়েন। যার মধ্যে অন⛎্যতম ছিল দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসাবে ১৪ হাজার রান সম্পন্ন করা।