যে কোনও ফর♎্ম্যাটেই খেলা হোক না কেন, উপমহাদেশে স্পিনারদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। ভারতের মাটিতে🍌 টেস্টে স্পিনারদের একতরফা দাপট দেখা স্বাভাবিক বিষয়। তবে তার থেকেও ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে স্পিনারদের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি হয় বিশেষ কারণে।
ভারতের প্রায় সব মাঠেই স্পিনাররা অল্প-বিস্তর সাহায্য পেয়ে থাকেন। চেন্নাইয়ের মতো মা🥃ঠে স্পিনারদের জন্য বাইশগজে সাহায্য থাকে বিস্তর। আসলে যে পিচে স্লো টার্নারদের জন্য বিশেষ কোনও সহায়তা থাকে না, সেখানে উইকেট তুলতে না পারলেও স্পিনাররা রান আটকাতে পারেন অনায়াসে। এই কারণেই এবারের বিশ্বকাপে তাদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যে দলের স্পিন আক্রমণ শক্তিশালী।
বিষয়টা ভালো মতোই বোঝে অস্ট্রেল꧙িয়া। তা সত্ত্বেও তারা নিজেদের স্পিন বিভাগকে তুলনায় শক্তিশালী করার প্রয়োজন মনে করেনি। চেন্নাইয়ের মতো পিচে ভারত যেখানে তিনজন বিশেষজ্ঞ স্পিনারে মাঠে নামে, অস্ট্রেলিয়া সেখানে একজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পার সঙ্গে কার্যত পার্▨টটাইমার স্পিনার ম্যাক্সওয়েলকে ব্যবহার করে। যার ফল ভুগতে হয় অজিদের।
আসলে অস্ট্রেলিয়ার হাতে এই মুহূর্তে জাম্পা ছাড়া আর ভালো মানের স্পিনার নেই। তনবীর সেই অর্থে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেꦓ এখনও পরীক্ষিত নন। অ্যাস্টন এগর চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পরে অস্ট্রেলিয়ার স্পিন বিভাগ দুর্বল হয়ে পড়ে। বিশ্বকাপে তাই ভালো মানের স্পিনারের অভাব টের পেতে পারে তারা।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্ট এক্ষেত্রে আস্থা রাখতে পারেনি টেস্ট স্পেশালিস্ট নাথান লিয়নের উপরে। লিয়ন টেস্টে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার। দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়া দলকে নির্ভরতা দিয়ে আসছেন ত😼িনি। ভারতের পিচে বল করার বিস্তর অভিজ্ঞতা এবং সাফল্যও রয়েছে তাঁর। এহেন লিয়ন নিজে থেকে বিশ্বকাপ খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেন এগর চোট পাওয়ার পরে। তবে অস্ট্রেলিয়ার কোচ এখনও পর্যন্ত পাত্তা দেননি লিয়নের আগ💧্রহে।
অজি স্পিনার নিজেই জানিয়েছেন যে, এগর ছিটকে যাওয়ার পরে তিনি যোগাযোগ করেন কোচের সঙ্🥀গে। Foxsports-এর উদ্ধৃতি অনুযা♏য়ী লিয়ন বলেন, ‘অ্যাস্টন এগর ছিটকে যাওয়ার পরে আমি ম্যাকডোনাল্ডকে টেক্সট মেজেস করি। আমি জানাই যে, ১০ ওভার বল করার মতো পরিস্থিতিতে ফিরে এসেছি। আমি মাঠে নামতে প্রস্তুত। ১০০ শতাংশ ফিট।’ আসলে গত অ্যাশেজ সিরিজের সময় চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে যান লিয়ন। চোট সারিয়ে তিনি যে মাঠে নামতে প্রস্তুত, সেই বিষয়টাই তিনি অবগত করেন কোচকে।
লিয়ন আরও বলেন, ‘যদি আমাকে দলে নেওয়া হয়, তবে বিশ্বকাপ খেলার জন্য আমি যা কিছু করতে প্রস্তুত।’ যদিও লিয়ন এক্ষেত্রে আশঙ্কা পꦑ্রকাশ করেন যে, যদি বিশ্বকাপ খেলার জন্য তাঁর ডাক পড়ে, তবে বুঝে নিতে হবে দলের পরিস্থিতি যথাযথ নেই। তাই তিনি চান যে, এমন পরিস্থিতি যেন না আসে এবং অস্ট্রಞেলিয়া যেন বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দেয়।