অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিশ্বকাপ ফাইনালে বেদনাদায়ক এবং হৃদয়বিদারক হারের ১১দিন পর, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) কর্মকর্তারা টুর্নামেন্টে ভারতের পারফরম্যান্স নি🐽য়ে পর্যালোচনা করতে প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাও ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে সেই বৈঠকে যোগ দেন। তিনি লন্ডনে ছুটি কাটাচ্ছেন। এই বৈঠকটি বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে হয়।
ভারত এই মেগা টুর্না꧒মেন্টে টানা দশটি ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু আসল জায়গাতেই তারা সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স করে। ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপে ভারত একটি মাত্রই ম্যাচ হেরেছে। আর সেটা ফাইনাল। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ছয় উইকেটে বাজে ভাবে হেরে যায় রোহিত বাহিনী। এই বৈঠকের আরও একটি আলোচ্য বিষয় ছিল, 🌊দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য ভারতের ওডিআই, টি-টোয়েন্টি এবং টেস্ট স্কোয়াড নির্বাচন করা এবং ভবিষ্যত কর্মপন্থা সম্পর্কে একটি ধারণা তৈরি করা।
বিসিসিআই সচিব জয় শাহ, সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা এবং কোষাধ্যক্ষ আশিস শেলার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং দৈনিক জাগরণ-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বোর্ড কর্🌜মকর্তারা কোচ দ্রাবিড় এবং অধিনায়ক রোহিতের থেকে জানতে চেয়েছিলেন, ১৯ নভেম্বর ফাইনাল ম্যাচে ভারতের হতশ্রী পারফরম্যান্স কারণ সম্পর্ক। প্রসঙ্গত, দ্রাবিড়ের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বিশ্বকাপের পর তাঁর চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছিল।
আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের পিচকে দ꧂ায়ী করেছেন দ্রাবিড়। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বলেছেন যে, ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট যতটা আশা করেছিল, পিচ ততটা ঘোরেনি। আর অস্ট্রেলিয়াকে আটকাতে না পারার পিছনে সেটাই ছিল একটা বড় কারণ।
আহমেদাবাদে ফাইনালের জন্য ধীরগতির পিচ কেন?
উল্লেখযোগ্য ভাবে, পাকিস্তানের বিপক্ষে যে পিচে ম্যাচ খেলেছিল ভারত, সেই পিচেই ফাইনালও হয়েছে। ভারত পাকিস্তান ম্যাচটি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে জিতেছিল। তবে ফাইনালে ভারতের টসে হারটাও ছিল ধাক্কা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে বাবর আজমরা প্রথমে ব্যাট ক🌳রেছিল এবং মাঝের ওভারে ব্যাটিং বিপর্যয় দেখা যায়। ঠিক যেমনটা ফাইনালে ভারতের ক্ষেত্রেও হয়েছিল। অধিনায়ক রোহিতের দুর্দান্ত শুরু সত্ত্বেও, ভারতের বিরাট কোহলি এবং কেএল রাহুল মধ্য ওভারে কোনও গতিই তৈরি করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: রিঙ্কু, অক্ষরের সৌজন্যে 𒐪নেতৃত্বের হাতেখড়িতেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় সূর্যের
এর পিছনে দু'টি প্রধান কারণ ছিল- পিচের অত্যধিক ধীর প্রকৃဣতি এবং অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের অনবদ্য কার্য সম্পাদন।
ফাইনালে ব্যবহৃত পিচটি স্থ💫ানীয় কিউরেটর๊ের পরামর্শে বেছে নেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া আইসিসির কোনও নিয়মই নেই, বিশ্বকাপে নকআউট ম্যাচের জন্য নতুন পিচ প্রস্তুত করাটা বাধ্যতামূলক। আর এই বিশ্বকাপের জন্য নকআউটের সব ম্যাচই খেলা হয়েছে ব্যবহৃত পিচে।
স্পিনারদের বেশি সাহায্য করার জন্য ফাইনালের জন্য পিচ কম জল দেওয়া হয়েছিল কিন্তু এটি ভারতের জন্য বুমেরাং হয়ে গিয়েছে। পিচ খুব বেশি টার্ন করেনি। অথচ খুব ধীরগতির হয়ে পড়েছিল, বিশেষ করে প্রথমার্ধে। অস্ট্রেলিয়া টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নিয়ে ভারতকে স্টাম্প করে। কারণ তারা জানত যে আলোর নীচে পিচ অনেক সহজ হয়ে যাবে। ঠিক তাই হয়েছে। ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা প্রথম ইনিংসে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে এবং ২৪০ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে, অস্ট্রেলিয়া, তিনটি উইকেট হারানো সত্ত্বেও, ট্র্যাভিস হেডের দুর্দান꧟্ত সেঞ্চুরির হাত ধরে ম্যাচ বের করে নেয়।
প্রতিবেদনে যোগ করা হয়েছে যে, বিসিসিআই কর্মকর্তারাও দ্রাবিড়কে এমন একটি পরিকল্পনা বেছে নেওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করেছিলেন, যখন মহম্মদ শামি এবং জাসপ্রীত বুমরাহের নেতৃত্বে ভারতীয় পেসাররা বেশ ভালো করছে। প্রধান কোচ বলেন, ফাইনাল ছাড়া পুরো টুর্নামেন্টে কিন্তু একই পরিকল্পনা ভারতের জন্য কার্যকরী হ🐟য়েছে।