বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচ খেলে ২টিতে জয় এবংꦕ একটিতে হারের মুখ দেখেছে পাকিস্তান। পয়েন্𝓀ট টেবিলে সেরা চারে থাকলেও সুবিধাজনক অবস্থায় নেই বাবর আজম বাহিনী। যেকোনও মুহূর্তে পরিস্থিতি তাদের বিরুদ্ধে যেতে পারে। এরই মধ্যে দুঃসংবাদ পাক শিবিরে। জ্বরে এবং ফ্লু-য়ে আক্রান্ত পাকিস্তানি ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক। শুধু শফিক নন, পাশাপাশি সউদ শাকিল, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও জামান খানও আক্রান্ত হয়ে কোয়ারেন্টাইনের রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, কারোর🧸ই ডেঙ্গির কোনও ছাপ ন🏅েই। আশা করা হচ্ছে, পাকিস্তানের আগামী ম্যাচের আগে সুস্থ হয়ে যাবেন পেস তারকা শাহিন শাহ আফ্রিদি। তবে এটাও জানা গিয়েছে যে ভারতের বিরুদ্ধে যেদিন ম্যাচ ছিল, সেদিন উসামা মীরও ফ্লু-এ আক্রান্ত ছিলেন। এই বিষয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, 'আমাদের দলে কয়েকজন ক্রিকেটার গত কয়েকদিন ধরে ভুগছিলেন। এখন বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দলের মেডিকেল প্যানেলের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন সেই খেলোয়াড়রা যারা সুস্থতার পর্যায়ে আছেন।'
উল্লেখ্য, প্রথম দুটি ম্যাচ পাকিস্তান জিতলেও খুব একটা স্বচ্ছ জয় হয়নি বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জয় তাদের হলেও যেরকম আশা করা হয়েছিল, তেমন ফল করতে পারেনি পাকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একটি বড় রান তাড়া করে জিতলেও, টপ অ♋র্ডারের দুর্বলতা প্রকাশ্যে এসে যায়। ভারতের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটꦛে হারে পাকিস্তান। সেই ম্যাচে রোহিত শর্মার বাহিনীদের সামনে হাবুডুবু খেতে দেখা যায় বাবর আজমদের। ব্যাটিং হোক কি বোলিং, দুই বিভাগেই ভারতের ধারে কাছে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান। যেই পেস আক্রমনের থেকে শুরুর দিকে উইকেট নেওয়ার আশা করা হয়েছিল তারা কেউই প্রভাব ফেলতে পারেনি। বরং ভারতীয় ব্যাটারদের তাদের স্বাচ্ছন্দভাবেই খেলতে দেখা গিয়েছিল।
যদিও পাকিস্তꦉানের এই পারফরম্যান্স সম্বন্ধে তাদের হেড কোচ গ্র্যান্ড এরিক ব্র্যাডবার্ন জানিয়েছেন, 'এই মুহূর্তে আমরা সেফ জোনে থাকলেও সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। আমরা চাই আমাদের খেলোয়াড়রা আরো বেশি 🎀আগ্রাসি ক্রিকেট খেলুক। ভারতের বিরুদ্ধে হারের সবচেয়ে বড় কারণ আমরা এখনও শিখছি। লাল মাটি হোক কি কালো মাটি আমরা সব পিচেই নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি।' তিনি আরও জানান, 'আমাদের দলে খেলোয়াড় অনেক ছিল। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে কেউ নিজের সেরাটা দেখাতে পারেনি। আশা করি আগামী ম্যাচগুলি আমাদের জন্য ভালই হবে।'