ম্যাচের পর 🐲সুপার ওভারও টাই। ২০১৯ ওডিআই বিশ্বকাপে🦩র ফাইনালে বেশি চার হাঁকানোর সুবাদে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। যা নিয়ে সেই সময়ে প্রচুর জলঘোলা হয়েছিল। চার বছর পরেও এই ঘটনার রেশ রয়ে গিয়েছে। এবং ফের চর্চায় ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করার নিয়ম।
ম্যাচ টাই হলে সাধারণত সুপার ওভারে গড়ায়। এর পর আবার সুপার ওভারে টাই হলে কী হবে? সুপার ওভারও টাই হয়েছিল গত বারের ওডিআই বিশ্বকাপে। এরপর বাউন্ডারি সংখ্যার হিসাবে ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। ভালো খেলার পরেও এমন আজব নিয়মের বেড়াজালে আটকে গিয়ে স্বপ্নভঙ্গ হওয়াটা যে কতটা যন্ত্রণ♛ার, তা হারে হারে টের পেয়েছিল কিউয়িরা। তাই এবারের ওডিআই বিশ্বকাপে বদলে যাচ্ছে নিয়ম। সুপার ওভার ‘টাই’ হলে আর আগের নিয়ম থাকছে না। টাই হলেও আবারও সুপার ওভার হবে। সেটা টাই হলে আবার সুপার ওভারের খেলা হবে। এভাবেই চলবে, যতক্ষণ না ‘আসল’ ফলাফল নির্ধারিত হয়।
আরও পড়ুন🧜: এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে- টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই অবসরের ইঙ্গিত দিলেন অশ্বিন
২০১৯ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড। লর্ডসের মাঠে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড করেছিল ২৪১ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডও থামে একই রানে। ইনিংসের শেষ বলে মার্ক উড রানআউট হয়। আর অল আউট হয়ে ২৪১ রানই করে ব্রিটিশরা। বিশ্বক༒াপের ফাইনাল ম্যাচ টাই!স্বাভাবিক ভাবেই সুপার ওভারে গড়িয়েছিল খেলা। উত্তেজনায় পরিপূর্ণ সুপার ওভারও টাই হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: রোহিতদের সঙ্গে বৃষ্টি এখ▨ন যেন স🅷মার্থক, বাতিল ভারত-ইংল্যান্ড গুয়াহাটির প্রস্তুতি ম্যাচও
সুপার ওভারের নিয়ম অনুযা🦂য়ী ৩ জন ব্যাটার এবং ১ জন বোলার খেলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা দল সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করবে। সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ড থেকে বেন স্টোকস ও জস বাটলার নেমেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ট্রেন্ট বোল্ট বল করেছিলেন। ইংল্যান্ড সুপার ওভারে করেছিল মোট ১৫ ﷽রান আসে। ১৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ব্যাট করতে নামেন জেমস নিশাম ও মার্টিন গাপ্তিল। ইংল্যান্ডের জোফ্রা আর্চার বল করেছিলেন। একটা ওয়াইড বল-সহ প্রথম ৫ বলই মোকাবিলা করেন নিশাম। শেষ বলে দরকার ২ রান। স্ট্রাইকে ছিলেন গাপ্তিল। একটি মাত্র রান নেওয়ার মতোই পরিস্থিতি ছিল, কিন্তু জান-প্রাণ এক করে দ্বিতীয় রান নেওয়ার জন্যও দৌড় দিলেন দুই ব্যাটার। তবে তাতে লাভ হয়নি। রানআউট হয়ে যান গাপ্তিল।
সুপার ওভারও ‘টাই’ হয়। কিন্তু বাউন্ডারি বেশি মারার কারণে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় ইংল্যান্ডকে। ইংল্যান্ড ২৬টি বাউন্ডারি মেরেছিল। আর ১৭টি মেরেছিল নিউজিল্যান্ড। সেই ম্যাচ শেষ হলে পুরস্কার-বিতরণী অনুষ্ঠানে গিয়ে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন দাবি করেছিলেন, ‘শুধু আশা করি, এই রকম মুহূর্ত আর কখনএ না আসুক।’ এর পরে বাউন্ডারির হিসাবে ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন করার আজব নিয়ম নিয়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। সমালোচনায় জর্জরিত হয়েই আইসিসি সেই বছরই তড়িঘড়ি💝 নিয়ম বদলে ফেলে। প্রসঙ্গত, এই বছরের বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড এবং নিউজিলন্যান্ড। ফিরবে ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালের স্মৃতি।