বিশ্বকাপের ভরাডুবি নিয়ে এমনিতেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে (এসএলসি) টালমাটাল অবস্থা। পয়েন্ট তালিকার নয়ে থেকে বিশ্বকাপ ⛎শেষ করায় ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে সিংহ বাহিনী। গোদের উপর বিষফোঁড়া আবার, আইসিসির নিষেধাজ্ঞা। বোর্ডে দুর্নীতির অভিযোগ এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপের কারণে এসএলসি-কে নির্বাসিত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তꦫ্রক সংস্থা।
আসলে কিছু দ🐠িন আগে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রক এসএলসি-কে ভেঙে দেয়। এর পর ১৯৯৬ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুন রণতুঙ্গাকে চেয়ারম্যান করে বোর্ডের অন্তর্বর্তীকালী🃏ন কমিটি গঠন করে ক্রীড়া মন্ত্রক। কিন্তু শ্রীলঙ্কার আবেদন করেন বর্তমান বোর্ডের সদস্যরা। তাতে আদালত অন্তর্বর্তীকালীন কমিটিকে দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত ঘোষণা করে।
রণতুঙ্গার দাবি, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট আসলে ধ্বংস করে দিতে চাইছে। এর জন্য যাবতীয় কলকাঠি নাড়ছেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বি🎀সিসিআই) সচিব জয় শাহ। শ্রীলঙ্কার এক সাংবাদিক সমরাবিক্রমাকে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া 🌃সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক এই দাবি করেছেন রণতুঙ্গা। লঙ্কার সাংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর সেখান থেকেই একটি প্রতিবেদনও করেছে।
৫৯ বছর বয়সী তারকা প্রাক্তন ক্রিকেটার দাবি করেছেন, ‘শ্রীলঙ🥃্কার ক্রিকেটকে জয় শাহ নিয়ন্ত্রণ করছেন। তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিসিসিআই-এর সভাপতি করেছিলেন এবং রাজনীতিতে যোগ দিতে বলেছিলেন। সৌরভ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তাই ওঁকে সরিয়ে দেন জয় শাহ।’ ইউটিউব ꧒চ্যানেল ‘ট্রুথ উইথ চামুদিতা’য় সিংহলি ভাষায় সাক্ষাৎকারটি দিয়েছেন রণতুঙ্গা। স্বাভাবিক ভাবেই জয় শাহর সেই ভাষা বোঝার কথা নয়।
আরও পড়ুন: ক্রাম্পের জন্য ওষুধ খেতে হয়েছিল- বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দাবি🐭 শ্রেয়সের
তবে রণতুঙ্গা মনে করেন,ಞ তাঁর কথাগুলোকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে জয় শাহর কাছে পৌঁছে দিলে, তিনি তাঁর বাবার (ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ) প্রভাব খাটিয়ে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দেবেন। লঙ্কার প্রাক্তন তারকার দাবি, ‘জয় শাহ এমন একজন, আপনি যদি এসব কথা ইংরেজিতে অনুবাদ করে প্রকাশ করেন, তাহলে তিনি ওঁর বাবার প্রভাব খাটিয়ে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের সর্বনাশ করে ছাড়বেন। শুধু বাবা ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার কারণেই ওঁর এত ক্ষমতা।’
রণতুঙ্গার অভিযোগ, লঙ্কান বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে জয় শ☂াহর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যে, সকলেই যেন বিসিসিআই-এর আজ্ঞাবহ। রণতুঙ্গা বলেছেন, ‘এসএলসি-র কর্মকর্তা এবং জয় শাহর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে বিসিসিআই-এর ধারণা, ওরা এসএলসি-কে চাইলে﷽ই পদদলিত এবং নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ভারতের এক ব্যক্তি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। ওঁর চাপে এসএলসি তছনছ হয়ে যাচ্ছে।’