শুভব্রত মুখার্জি: ৫ অক্টোবর থেকে ভারতে শুরু হতে চলেছে ওডিআই বিশ্বকাপের আসর। ইতিমধ্যেই দুটি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছে ভারতীয় দল। ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের নেতৃত্বে এবং ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ভারত দুবার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তবে বেশ কয়েকবার ভারত প্রায় কাছাকাছি চলে গিয়েও জয় সুনিশ্চিত করতে পারেনি। তার মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল ১৯৯৬ এবং ১৯৮৭ সালের বিশ্💝বকাপ হার। দুবারেই বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক ছিল ভারত। দুবারেই সেমিফাইনালে 🍸উঠে হারতে হয় তাদের। দুবারেই তারা ম্যাচ জয়ের জায়গায় দাঁড়িয়েও জয় ছিনিয়ে নিতে পারেনি।
২০২৩ বিশ্🐓বকাপের আগে সেই🌊 ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপ নিয়ে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে হতাশার কাহিনী শোনালেন তৎকালীন দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মনিন্দর সিং। মনিন্দর সিংয়ের মতে, ওই হারের যন্ত্রণা কোনদিনও যাবে না।
ভারতীয় প্রাক্তন তারকা স্পিনার জানিয়েছেন মৃত্যুর দিন পর্যন্ত এই যন্ত্রণা তিনি ভুলতে পারবেন না। প্রসঙ্গত ১৯৮৭ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হারতে হয়েছিল ভারতকে। ফলে সেবার আর ফাইনালে খেলা হয়নি ভারতের। বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে মনিন্দর সিং জানিয়েছেন, 'বিষয়টি আমাকে খুব যন্ত্রণা দেয় এখনও। আমাদের দল খুব ভালো ছিল। দলের ভারসাম্যও ছিল খুব ভালো। আমরা দলগতভাবে খুব ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। আমাদের একটা বিশ্বাস ছিল যে আমরা জিতবই। সেমিফাইনালেও আমরা ম্যাচ জয়ের পরিস্থিতিতে ছিলাম। সেখান থেকে হেরে যাওয়াটা এখনও আমাদের যন্ত্রণা দেয়। মৃত্যু পর্যন্ত এই যন্ত্র♕ণা আমার থাকবে।'
১৯৮৭ সালের 🐭ওডিআই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতকে হারতে হয়েছিল ইংল্যান্ডের কাছে। শেষ ১০ ওভারে ৪৫ রান করতে না পারার ফলে হারতে হয়েছিল ভারতকে। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন ইংল্যান্ডের গ্রাহাম গুচ। প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড দল ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রান করে। গ্রাহাম গুচ অনবদ্য ১১৫ রানের একটি ইনিংস খেꦆলেন। অধিনায়ক মাইক গ্যাটিং করেন ৫৬ রান।
জ🎶বাব♌ে ৪৫.৩ ওভারেই ভারত ২১৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। মহম্মদ আজহারউদ্দিন ৬৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেও ভারতের হয়ে জয় ছিনিয়ে নিতে পারেননি। বল হাতে ৫২ রানে চার উইকেট নেন এডি হেমিংস। তাঁর দুরন্ত বোলিংয়ে নির্ভর করে ইংল্যান্ড ৩৫ রানে জয় পায়।