মঙ্গলবার রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম🌟ুখোমুখি হয় পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা। আর সেই ম্যাচে চারটি শতরান হয়। শ্রীলঙ্কার হয়ে কুশল মেন্ডিস ৭৭ বলে করেন ১২২ রান। তাঁর এই ইনিংসটি সা🍨জানো ছিল ১৪টি বাউন্ডারি এবং ৬টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। এছড়াও সাদিরা ৮৯ বলে ১০৮ রান করেন। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১টি বাউন্ডারি এবং ২টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। জোড়া শতরানে ভর করে শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৪৪ রান তোলে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আবদুল্লা শফিক ১০৩ বলে ১১৩ রানের ইনিংস খেলেন ১০টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারির 🌜সৌজন্যে। এছাড়াও মহম্মদ রিজওয়ান ১২১ বলে ১৩১ রানের ইনিংস উপহার দেন। পাক ক্রিকেটারের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। এই দুই ব্যাটারের শতরানে ভর করে শ্রীলঙ্কার দেওয়া বড় রানের টার্গেট তুলে নেয় পাকরা। মাত্র ৪ উইকেট হারিয়েই জয়েক জন্য প্রয়োজনীয় ৩৪৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান।
তবে এই ম্যাচে যেমন একাধিক রেকর্ড হয়েছে। ঠিক তেমনই একাধিক মজার ঘটনাও ঘটে। এই ধরুন ১৯৮৭ সালে ওডিআই বিশ্বকাপ ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়। সেবার প্রথম কোনও উইকেটরক্ষক বিশ্বকাপের মঞ্চে শতরান পান। এবার বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথম দুই দলের উইকেটরক্ষক একই ম্যাচে শতরান পেলেন। স্বাভাবিক ভাবেই নতুন এক রেকর্ড হল পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচে। আবার এই দুই ম্যাচই একই দ🌸িনে হয় এবং একই স্টেডিয়ামে।
১৯৮৭ সালে জিম্বাবোয়ের ড্যাভ হউন্টন ১৩৭ বলে ১৪২ রান করেন ১৩টি বাউন্ডারি এবং ৬টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। এবার মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার কুশল মেন্ডিস এবং পাকিস্তানের মহম্মদ রিজওয়ান শতরান করলেন। সেই সঙ্গে একই ম্য়াচে দুই দল🃏ের উইকেটরক্ষক শতরান করায় রেকর্ড গড়লেন তারা। বিশ্বকাপে এটাই প্রথম। যদিও 🌳ওডিআই ক্রিকেটে এমনটা এর আগেও হয়েছে।
২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কা বনাম ভারত ম্যাচে এমন ঘটনা ঘটে। সেই ম্যাচে দুই দলের উইকেটরক্ষকের ভূমিকা পালন করেন কুমার সাঙ্গাকারা এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি। সাঙ্গাকারা অপরাজিত ১৩৮ রান করেন, এবং ধোনি অপরাজিত ১৮৩ রান করেন। দুই ব্যাটার এক ম্যাচে ২৫৫-র বেশি রান করেন। এবার একই ঘটনা দেখা গেল বিশ্বকাপে। পাক বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচে কুশল ১২২ এবং রিজওয়ান ১৩১ রান করেন। এই নিয়ে ওডিআই ক্রিকেটে দ্বিতীয়বা⛄র দুই দলের উইকেটরক্ষক মিলে ২৫০-র বেশি রান করলেন।