অসমে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেছেন, নির্বাচনে জিতলে অসমে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) চালু করবে না কংগ্রেস সরকার। এই ইস্যুতে এবার অভিনব প্রচারে নেমেছে কংগ্রেস। হাতে আর এক মাস। তার মধ্যেই হবে অসমের বিধানসভা নির্বাচন। এখানে ১ লাখ ঐতিহ্যবাহী স্কার্ফ–তোয়ালে জোগাড় করেছে বিরোধী কংগ্রেস। আর সেই সব স্কার্ফ–তোয়ালের উপর নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বার্তা লেখা থাকবে। সুতরাং এই স্কার্ফ বা তোয়ালে নির্বাচনের আ♍গে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়লে বিজেপির কাছে চাপ তৈরি হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
ইতিমধ্যেই কংগ্রেস প্রচার করতে শুরু করেছে, বিজেপি যতই চেষ্টাই করুক, সিএএ (নাগরিকত্ব সংশোধন আইন) চালু হতে দেব না। কংগ্রেসের দাবি, অসম চুক্ত𝓡িই এখানে শান্তি, সহাবস্থান বজায় রাখতে পারে, অন্য কিছু নয়। তাই রাজ্যে ক্ষমতা🥃য় এলে কোনওভাবেই সিএএ হতে দেওয়া হবে না বলে কংগ্রেসের দাবি।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অসমে এসেছিলেন। তখন তাঁকে ‘গামোছা’ (ঐতিহ্যবাহী স্কার্ফ বা তোয়ালে) দেওয়া হয়েছিল। যেখানে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বার্তা লেখা ছিল। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, অসমের মানুষের মধ্যে বিজেপি বিভাজন তৈরি করছে। অসম কংগ্রেস ঠিক করেছে যে সারা রাজ্যে এই ‘গামোছা’ ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এই বিষয়ে অসম কংগ্রেসের সভাপতি রিপুণ বোরা 🦹বলেন, ‘আমাদের আশা ঐক্যবদ্ধ ও সমৃদ্ধশালী অসম গড়ে তুলতে পারব। অশুভ শক্তির সঙ্গে লড়াই করে তা ফিরিয়ে আনব। আমরা কয়েকদিনে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী ১ লাখ গামোছা জোগাড় করেছ🌃ি।’
কংগ্রেস সূত্রে খবর, এবার চার রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত পুদুচেরির বিধানসভা নির্বাচনে নয়া কৃষি আইন ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ শানাবেন রাহুল গান্ধী। পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে গিয়েও তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণের বদলে তাঁর টার্গেট হবেন নরেন্দ্র মোদীই। এআইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, নয়া কৃষি আইনকে ঘিরে কৃষকদের আন্দোলনকে বিজেপ𝔍ির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগাতেই ঝাঁ♌পাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। বিভিন্ন রাজ্যে আয়োজিত কিষান পঞ্চায়েতে অংশ নেবেন তিনি।