'শাহের পঞ্চায়েত থেকে সংসদের ভোটের ফর্মুলার সঙ্গে এখন সকলꦇেই একাত্ম হয়ে গিয়েছেন।' বিজেপির এক বর্ষীয়ান নেতা এভাবেই ব্যখ্যা করছেন ২০২২ বিধানসভা ভোটে ৫ রাজ্যের মধ্যে ৪ টিতে বিজেপির দাপট ধরে রাখার কাহিনিকে। এই কাহিনি বিন্যাসের দুই অন্যতম কারিগর হিসাবে তাঁরা এখনও মনে করছেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে। 'ভোট ফর মোদী' স্লোগান ২০১৪ সালেও যতটা কার্যকরী ছি💞ল ২০২২ এ এসেও বিজেপিকে তা মাইলেজ দিয়েছে। গঙ্গাপাড়ের উত্তরপ্রদেশ এই ভোটে বিজেপির দখলে। এরপর বারাণসীর সাংসদ নরেন্দ্র মোদীর সামনে রয়েছে ২০২৪ এর লোকসভার লড়াই। সেই ভোট যুদ্ধ কতটা সহজ বা কঠিন হবে, তা বিশ্লেষণের আগে দেখা যাক, কোন ব্যকরণে বিজেপির শাহ-মোদী জুটি বাজিমাত করে থাকে গেরুয়া-ভোট স্ট্র্যাটেজি।
২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের সময় গুজরাতে তাঁরই এক পার্টির সহকর্মীকে মোদী আহ্বান জানিয়েছিলেন বিভিন্ন রাজ্যে ভোট-পিচ দেখে রাখার জন্য। মোদীকে আশাহত করেননি তিনি। ২০১৪ লোকসভা ছাড়াও তিনি বিজেপিকে 'উপহার' দিয়েছিলেন ২০১৭ উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট। তিনি বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপির জাতীয় স্তরের বিভিন্ন নেতা বলছেন, ২০১৪ সালের পর থেকে পার্টির ভোট স্ট্র্যাটেজিতে আমূল পরিবর্তন এসেছে। ততদিনে গুজরাত থেকে দিল্লির গন্তব্যে বেরিয়ে পড়েছেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। ধীরে ধীরে বিজেপির ভোট রাজনীতির ঘরানা পরিবর্তন করেছেন তাঁরা। প্রচার বলতে শুধুই মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভাষণকেই গুরুত্ব দেননি, বরং বিভিন্ন কর্মকাণ্ডকেও প্রচারের অংশিদার করেছেন। প্রযুক্তিকে এনেছেন পার্টির প্রচারে। দলের বার্তা পৌঁছে দিতে চিরাচরিত মিডিয়ার ওপর ভরসা করেননি তাঁরা। স্মার্টফোনের হাত ধরে সদস্যপদ দিয়েছে বিজেপি। দলের নেতারা বলছেন, হাইকমান্ড-ঘরানা সরিয়ে নিখুঁত পর্যবেক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের রাজনৈতিক জমি চেনার প্রক্রিয়া চালিয়েছে মোদী-শাহের পার্টি। শাহের স্ট্র্যাটেজিতে বারᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚবার গুরুত্ব পেয়েছে গ্রাম্যস্তরের বুথ লেভেলের সক্রিয়তা। বুথ লেভেলে সংগঠন যত শক্ত হয়েছে, ততই বেড়েছে দলের শক্তি। একজন সিনিয়র বিজেপি নেতা বলছেন, 'রাজ্যের নির্বাচনের ক্ষেত্রে উনি (অমিত শা🔯হ) বলেন, এটিকে একটি রাজ্য ভিত্তিকভাবে দেখার কিছু নেই। বরং এর প্রভাব একটি এলাকায় কেমন তা দেখা দরকার।' এছাড়াও ওই বিজেপি নেতা বলছেন, দলের নিয়মানুবর্তিতা থেকে দায়িত্বভার রক্ষার ক্ষেত্রে একজন এলাকা প্রমুখও যেমন খাটেন তেমনই খাটতে হয় উচ্চস্তরীয় নেতাদের।
উল্লেখ্য, বহু নিপুণ দক্ষতায় বিজেপি এখনও ভোট প্রচারের প্রশ্নে এগিয়ে রাখে নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তাকে। যদিও উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে 🌊তারা যোগী আদিত্যনাথকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরে, তবুও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে মোদীর 'ফেসভ্যালু' বিজেপির কাছে দামী, ও তারা সেটা ব্যবহার করে। আর সেই ফর্মুলাতেই তারা সুপ্তভাবে ২০২৪ লোকসভা ভোটের পিচ তৈরি করဣছে বলেও মনে করছেন বহু বিশেষজ্ঞ।
উল্লেখ্য, অসহিষ্ণুতা, গেরুয়া শিবিরের আদর্শের বিরোধিতা সহ একাধিক ফ্যাক্টর ২০২২ বিধানসভা ভোটের মাঝে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জে ফেলেছিল। তবে ভারতের বিশ্বায়ন ও বিভিন্ন গ্লোবাল ফ্যাক্টরকে নিখুঁতভাবে স্থানীয় নির্বাচনগুলিতেও প্রচারের কাজে ব্যবহার করেছে বিজেপি। যেমন ইউক্রেন সংকটের মাঝে যে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হল, তাঁদের মধ্যে অনেকেই উত্তরপ্রদেশ বা গোয়ার বাসিন্দা। আর তাঁদের ঘরে ফেরার ইস্যু নিঃসন্দেহে সেখানের ভোটে একটি ইতিবাচক ফ্যাক্টর। এভাবেই বিভিন্ন রাজনৈতিক বিরোধিতার মধ্যেও বিজেপি জাতীয় সুরক্ষা ও নিরপাত্তার প্রশ্নে বারবার ভোট প্রচারে বাজিমাত করেছে। আর ২০🔯২২ বিধানসভা ভোটের ফর্মুলা তার থেকে আলাদা নয়। যে কারণে ভর করে ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ৪ টি রাজ্যেই দাপটে উড়ছে গেরুয়া নিশান। কার্যত ৫ -এ ৪ স্কোর নিয়ে এগিয়ে চলেছে বিজেপির ইনিংস।