মেদিনীপুরের বাংলোয় বসে ভোট পরিচালনা করেছিলেন তিনি। এলাকার ভোটার না হওয়ায় এখান থেকে ফিরে যেতে বলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু ত꧅িনি কথা শোনেননি। স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি থেকে ভোট পরিচালনা করেছিলেন। নির্বাচনী প্রচারে নিজস্ব মেজাজে ঝড় তুলেছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভই হল না। হ্যাঁ, তিনি মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। যিনি নিজের গড়েরও মুখরক্ষা করতে পারলেন না।
কেমন ফলাফল হল এখানে? মেদিনীপুর পুরসভার মোট ২৫টি ওয়ার্ড। তার মধ্যে ২০টি ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে। তিনটি ওয়ার্ড বাꦅমফ্রন্ট, একটি নির্দল এবং একটি কংগ্রেসের দখলে গিয়েছে। সুতরাং এখানে বিজেপি একটিও আসন পেল না। ফলে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠত🍬া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মেদিনীপুর পুরসভার বোর্ড দখল করল।
বিধানসভা নির্বাচনের পর পুরসভা নির্বাচনে যেন আরও ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেল বিজেপি। আগের পুরসভার একটিতেও জিততে পারেনি বিজেপি। আবার রেলশহর খড়গপুরে হিরণ জিতলেও পুরসভা💖 দখল থেকে অনেক দূরেই রয়ে গেল বিজেপি। হিরণ–দিলীপ আকচা–আকচিও দেখেছেন এখানকার মানুষ। সবমিলিয়ে বিজেপি নিজের গড়ে ধরাশায়ী।
এদিন ভোটগণনার সময় বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলে꧃ন, ‘প্রত্যাশা রয়েছে কিন্তু যে রেজাল্ট হওয়ার কথা ছিল সেটা হবে না। ভয়ের পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে তাই যা রেজাল্ট হওয়ার ছিল তা হবে না। বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা, ভোট লুট সিপিআইএম আমলে হতো এবং মানুষ তাদের বিদায় দিয়েছে।ཧ এরপরে মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে।’