নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত ভোট আছে। ﷽তৃণমূল ভোটে লড়ছে। নেই সুফিয়ান-আবু তাহের। শেখ সুফিয়ানকে জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়েও পরে সরিয়ে নেয় তৃণমূল। অন্য দিকে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় পুলিশের খাতায় 'পলাতক' নন্দীগ্রামের দাপুটে নেতা আবু তাহের। তাঁর স্ত্রী এবার পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দল প্রতীক না দেওয়া মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তাই এ বার নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত ভোট হবে। নাম শোনা যাবে না আবু তাহের ও শেখ সুফিয়ানের।
(পড়তে পারেন। Bengal Panchayat Election 2023: ভোট বালাই না পেট? শিবুরাম প্রার্থী হয়েও দেওয়াল লিখছেন ♚সব দলের)
আবু তাহেরের স্ত্রী আনিসা খাতুন নন্দীগ্রামের-১ ব্লকের কোন্দামারি জলপাই অঞ্চলের একটি বুথে প্রার্থী তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা করেন। কিন্তু, ওই একই বুথে তৃণমূলের হয়ে ম♈নোনয়ন জমা দেন আরও এক মহিলা। শেষ পর্যন্ত দল তাহেরের স্ত্রীকে প্রতীক দেয়নি। ফলে, ব্লক অফিসে গিয়ে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নেন আনিসা।
পরে তিনি ♊সংবাদমাধ্যমকে বলেন,'দলের নেতৃত্বের কথাতেই মনোনয়ন জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু দেখলাম দলীয় প্রতীক 🔯অন্যজনকে দেওয়া হয়েছে। তাই নিয়ম মেনে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নিয়েছি।' তাহেরের ছেলে ওয়াশিম আহমেদ এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
তবে তাহেরের স্ত্ꦅরীর এই দাবি মানেননি তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি শেখ সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, 'আবু তাহের বা তাঁর স্ত্রীর প্রার্থী হওয়ার কোনও কথা ছিল না। কেন যে তিনি মনোনয়ন জমা দিলেন🍷 তা জানিনা।'
গত বিধানসভা ভোটে দেবব্রত মাইতি নামে এক ব্যক্তিকে খুনের মামলায় ꦜনাম জড়ায় আবু তাহেরের। আদালতে তাঁরꦑ আগাম জামিনও খারিজ হয়। তার পর থেকে তদন্তকারী সংস্থার খাতা 'পলাতক' তাহের। ২০০৮ সাল থেকে নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত ভোট লড়ছেন তাহের। কিন্তু এবার ভোটে তাঁর নাম শোনা যাবে না।
অন্য দিকে জমি আন্দোলনের আরও এক নেতা শেখ সুফিয়ানও পঞ্চায়েত ভোটে লড়ছেন না। ১৯৮৮ সাল থেকে তিনি পঞ্চায়েত ভোটে লড়ে আসছেন। সেবার তিনি সিপিএমের টিকিটে জয়ী হন। তার পর তিনি তৃণমূলে যোꩲগ দেন। তখন থেকে তিনি তৃণমূলের হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে লড়ছেন।
এবারও জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাপতি সুফি🐽য়ানকে প্রার্থী করে তৃণমূল। কিন্তু পরে তাঁকে শীর্ষ নেতৃত্বে সরিয়ে দেন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেরই সিদ্ধান্ত তা কানোঘুষো শোনা গিয়েছে । তাই এ বার পঞ্চায়েত ভোটে দু'জনের কারও নামই শোনা যাবে না।
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল এর প্রতিক্র🤪িয়ায় বলেন, 'জমি আন্দোলনের সময় দু'জনেই মাটি কামড়ে থেকে লড়াই করেছেন। কেন তাঁদের প্র𓃲ার্থী করা হল না এটা তৃণমূলই ভালো বলতে পারবে।'
সিপিএমের কেউ এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।