স্ট্রং রুমে ব্যালট পেপারে কারচুপি করা হতে পারে৷ ভোটের প্রচার পর্বেই এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিরোধীরা। সেই মতোই ভোট গ্রহণ পর্ব মিটতেই বিভিন্ন জায়গায় স্ট্রং রুমে ঢুকে ব্যালটে কারচুপির অ﷽ভিযোগ উঠেছে। এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যালট পেপারে কারচুপির অভিযোগ উঠল বিরোধী দলনেতার নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায়। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রীতিমতো🥀 রণক্ষেত্র চেহারা নেয় এলাকা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি করে বিজেপি কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: গণনার একদিন আগেই ব্যালট বাক্সের সিল খোলা হয়েছে, অভিযোগ তুললেন মহম্ম🌟দ সেলিম
বিজেপির অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে ব্যালট বাক্সে কারচুপি করেছে তৃণমূল। এই অভিযোগে এগরা দু'নম্বর ব্লকের বালিঘাই হাইস্কুলে স্ট্রং রুমের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কর্মীরা স্ট্রং রুমের মধ্যে যায়। কিন্তু, বিজেপি কর্মীদের সেখানে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। স্ট্রং রুমের মধ্যে তৃণমূল ঢুকে ব্যালট বাক্সে কারচুপি করছে বলে অভিযোগ। তাদের প্রশ্ন, ‘তৃণমূল কর্মীরা স্ট্রং রুমে ঢুকে কেন কারচুপি করবে? দিদি যদি উন্নয়ন করে থাকেন তাহলে তারাই জিতবে। তারপরেও কেন ব্যালট বাক্সে জল ঢালা হয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং স্ট্রং রুমে ঢুকে কেন কারচুপি করা হচ্ছে? এই অভিযোগের ভিত্তিতে র𓆏বিবার রাতে স্ট্রং রুমের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড🦩়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের ওপর শুরু হয় ইট বৃষ্টি। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কার্যত রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে স্ট্রং রুম চত্বর। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
অন্যদিকে, হাওড়ার ডোমজুড়ের আজাদ হিন্দ কলেজের গণনা কেন্দ্রের সীমানার পাঁচিল ভাঙাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। বিরোধী দলের অভিযোগ স্ট্রং রুম থেকে ব্যালট বক্স লুট করার জন্য পাঁচিল ভাঙা হয়েছে। অভিযোগ, রবিবার রাতে ওই কলেজের সীমানার পাঁচিলের ৬ ফুট লম্বা এবং ৫ ফুট চওড়া ভাঙা অংশ দেখা যায়। বিরো𒁃ধী দলের কর্মীদের তা নজরে এলে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সিপিআইএম নেতৃত্বের অভিযোগ পরিকল্পনামাফিক ব্যালট বক্স লুট করার জন্য এই কাজ করেছে তৃণমূল। বিজেপির পক্ষ থেকেও একই ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে সিপিএম, বিজেপি এবং নির্দল কর্মীরা কলেজের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশ কর্মীরা লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।