পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী। ফের চলল গুলি। গতকাল বাসন্ত𝕴ীর সন্ত্রাস-কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখান থেকে রাজ্যপাল ফিরতে না ফিরতেই ফের বাসন্তীতে গুলিবিদ্ধ হলেন এক তৃণমূল কর্মী। সোমবার রাত ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তীর নফরগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌরঙ্গির কাছে। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর নাম খগেন খুটিয়া (৫৫)। বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠ🌺েছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের! আড়িয়াদহে তৃণমূল যুবনেতাকে গুলি, না ল🔯াগায় 🌳রাস্তায় ফেলে মার
পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন খগেন-সহ অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরা। রাত ১১ টার সময় একটি চারচাকা গাড়ি ও কয়েকটি বাইকে করে দুষ্কৃতীরা এসে দু'রাউন্ড গুলি চালায়। ঘটনায় পালাতে গেলে পায়ে গুলি লাগে খগেনের। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তড়িঘড়ি খগেনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান দলের অন্যান⭕্য কর্মীরা। বর্💙তমানে সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। এদিকে, খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসে ঝড়খালি কোস্টাল থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী খগেন খুটিয়া বলেন, ‘আমি নির্বাচনী প্রচারের জন্য বাসন্তী ব্লকের তৃণমূল নেতা দুলাল মণ্ডলের কাছে কাগজ আনতে♛ গিয়েছিলাম। সেই সময় একটি গাড়ি ও চারটি-পাঁচটি বাইকে করে দুষ্কৃতীরা এসে আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আমি ও দুলালদা পালানোর চেষ্টা করলে আমি পড়ে যায়। তখন ওরা গুলি করলে আমার বাঁ-পায়ে গুলি লাগে। এরপর তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।’ তিনি বলেন, ‘গাড়িতে কতজন ছিল, তা দেখিনি। তবে বাইকে যারা ছিল, তাদের সকলে মুখ ঢেকে রেখেছিল।’ তাঁর অভিযোগ, তিনি আগেও তাঁদের দেখেছেন। দুষ্কৃতীরা বিজেপির লোক বলে দাবি তৃণমূল কর্মীর। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
তৃণমূলের দাবি, বাসন্তী ব্লকের তৃণমূল নেতা দুলাল মণ্ডলকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তবে দুলাল কপালের জোরে বেঁচে গেলেও খগেন গুলিবিদ্ধ হন। দুলালের দাবি, সোমবার রাত ১১ টা নাগাদ তিনি বাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় বাইক ও গাড়িতে করে আসে দুষ্কৃতীরা। তবে তাঁর বাড়ির কাছে আসার আগে বাইকের আলো বন্ধ করে দিয়েছিল দুষ🦩্কৃতীরা। এরপর যুবকদের হাতে বন্দুক দেখতে পেয়ে দুলাল সেখানে পালিয়ে যান। তারা পরপর ২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। সেই তার মধ্যে একটি গুলি লাগে খগেনের পায়ে। উল্লেখ্য, সোমবারই বাসন্তীতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। গাগরামারিতে নিহত তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্🎀লার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পাশাপাশি প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলেন। তারপরেই ফের গুলি চলল বাসন্তীতে।