পঞ্চায়েত ভোটের দিন জেলায় জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটꦕেছে। সেই আতঙ্কের মধ্যে ও ভোট দিয়ে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন ভোটাররা। কিন্তু, নিউ টাউনে দেখা গেল অন্য দৃশ্য। সেখানে বুথে ভোটারদের ঢুকতে দেওয়া হল না। বহিরাগতরা পুলিশের গার্ডরেল দিয়ে ভোটারদের বুথে প্রবেশ থেকে আটকাল। এমনই অভিযোগ উঠল। অথচ ওই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী বা পুলিশ কারও দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। রাজ্য পুলিশের প্রতীক আঁকা লোহার গার্ডরেল দিয়ে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে ভোটকেন্দ্রের চারদিক ঘিরে রাখে বহিরাগতরা। কীভাবে বহিরাগতরা রাজ্য পুলিশের গার্ডরেল হাতে পেল তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: TMCর বিরুদ্ধে ব্য🃏ালট বাক্স বদলের অভিযোগ, BJPর পথ অবরোধে বেলꦑাগাম লাঠি চালাল পুলিশ
নিউ টাউনের কিছু অংশ জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া (২) পঞ্চায়েতের অধীনে। সেখানে ১২টি বুথ রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, নিউ টাউনের বিএফ ব্লকে এপিজে আবদুল কালাম কলেজে ভোটকেন্দ্র ছিল। তবে সেই ভোটকেন্দ্রে নাগরিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বহ♚িরাগত দুষ্কৃতীরা নাগরিকদের জানিয়ে দেয় ভোট দেওয়া যাবে না। ফলে অশান্তি এড়াতে বাধ্য হয়েই ফিরে যেতে হয় ভোটারদের। ভোট দিতে চাওয়ায় বেশ কয়েকজন ভোটারকে মারধরও করা হয়। যার মধ্যে এক বৃদ্ধ ভোটারের হাত ভেঙে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রসঙ্গত, নিউ টাউনে ৭ আসনে এলাকার বাইরে ল🌱োকেদের প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও বিরোধীরা অর্থাৎ সিপিএম এবং বিজেপি এলাকার বাসিন্দাদেরই সেখানে প্রার্থী করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, গার্ডরেলের বাইরে বিধানগর পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীকে লোকজন নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধাননগর পুর এলাকার যুবনেতা পার্থ সরকার। যদিও বহিরাগতরা সংবাদ মাধ্যমের সামনে রুমাল দিয়ে মুখ ঢেকেছিল।
অন্যদিকে, জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া পঞ্চায়েতের ২৪ নম্বর আসনের সিপিএম প্রার্থী সৈয়দ আসিফ হোসেনকে বাড়ির বাইরে বের হ𓂃তে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য অনুপম এরজন্য তৃণমূলকে দায়ী করেছেন। পুলিশের ভূমিকা ‘লজ্জাজনক’ বলে তিনি মন্তব্য করেন। যদিও সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী অনুপম মাইতির দাবি, সেখানে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিল নিউ টাউনের বাসিন্দাদের সংগঠন নিউটাউন ফোরাম অ্যান্ড নিউজ। এ নিয়ে পোস্টার, হোর্ডিং পড়েছিল নিউটাউনে।এদিন ভোটে বহিরাগতরা সেই পোস্টার দেখিয়ে ভোটারদের তাড়া করে ব🌃লে অভিযোগ। এ নিয়ে ওই সংগঠনকে দায়ী করেছে নিউ টাউনের বাসিন্দাদের অন্য একটি সংগঠন নিউ টাউন সিট💎িজ়েন্স ওয়েলফেয়ার ফ্রেটারনিটি।
তাছাড়া জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌরাঙ্গ নগর অভিযান স্পোর্টিং ক্লাবে ২৬৬ ও ২৬৭ নম্বর বুথে তৃণমূল ও সিপিএমের সংঘর্ষ বাঁধে। সিপিএমের অভিযোগ তৃণমূল বহিরাগতদের নি൩য়ে এসে এলাকায় গুলি চালায়। ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ব্যালট বক্সে জল ঢেলে দেয় বলে অভিযোগ। সিপিআইএম জেলা পরিষদ প্রার্থী পরিমল মিস্ত্রির অভিযোগ, তৃণমূল দুষ্কৃতীরা সেখানে চার রাউ🐻ন্ড গুলি চালিয়েছিল।