তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচ🐻নে মনোনয়নের দিন বাড়ানোর দাবিতে মামলা। এমনকী ৮ জুনের পরিবর্তে ১৪ জুন পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক চেয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তো ছিলই। সেখানে স্পর্শকাতর জায়গা অর্থাৎ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিয়ে ভোটের কথা কলকাতা হাইকোর্ট বললেও বাকি দাবি খারিজ করে দিয়েছে। এই আবহে এবার মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে সংঘর্ষের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগ নিয়েই আজ বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিꦆশনে হাজির হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিকে জেলায় জেলায় লাগাতার হিংসার ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ তুলে তাঁরা হাজির হয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রয়েছেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়–সহ অন্যান্যরা। মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। অশান্তির বিবরণ নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে তাঁরা অভিযোগ জানাতে পৌঁছেছেন। 🅘এই টিমে রয়েছেন শিশির বাজোরিয়া। নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত আইন তিনি গুলে খেয়েছেন। তাই সর্বদলীয় বৈঠকের পরদিনই অভিযোগ জানাতে হাজির তাঁরা। রাজীব সিনহার সঙ্গে কথা বলে তুলে দেবেন অভিযোগপত্র।
তবে বিজেপি–সহ বিরোধীরা অনেক বেশি মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছেন। সেই নথি ইতিমধ্যেই জোগাড় করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে বিরোধীদের এই অভিযোগ মানছে না শাসকদল। যদিও বুধবার পঞ্চায়েত নির্💟বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পঞ্চম দিনে ভাঙড়, ক্যানিং, ইন্দাস, মিনাখাঁ–সহ কয়েকটি জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। তার মধ্যে ভাঙড় এবং ক্যানিংয়ে বড় আকার নিয়েছিল সন্ত্রাসের। ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও ভাঙড়ে বোমা প♚ড়েছে। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে তৃণমূল–আইএসএফ।
অন্যদিকে ব্যাপক হামলার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিপিএম এবং আইএসএফ। মনোনয়নপত্র জমা করা নিয়ে তেতে ওঠে ক্যানিংও। দুষ্কৃতী হামলার আশঙ্কায় সেখানে পথ অবরোধ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতির অভিযোগ, এলাকা𝕴য় প্রচুর দুষ্কৃতী জড়ো হয়েছে। তৃণমূল প্রার্থীদের উপর হামলা হতে পারে। তাঁকে খুন করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারপরই দুই তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ এবং ছোড়ে কাঁদানে গ্যাস। এই সব মিলিয়েই নির্বাচন কমিশনের দফতরে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিকদের শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশন এখনও অভিযোগ জমা নেওয়ার সেল খোলেনি। বিডিও অফিসে যাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাদের নিয়ে এখানে অবস্থান চলবে। ভোট লুঠ করতে দেব না। শাসকদল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২০ হাজার পঞ্চায়েত জিততে চলেছে। রাজীব সিনহা আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোষা কুকুর। বিজেপি এবার দেখিয়ে দেবে।’