চোপড়া থেকে ভাঙড়, বৃহস্পতিবার জুড়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পেশকে ঘিরে। এই আবহে তিনজন বিরোধীর মৃত্যুও হয়। আর এই পরিস্থিতিতে আদালতে দ্বারস্থ হয়ে মনোনয়ন পেশের সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন জানালেন বিরোধী💞রা। বাম-বিজেপি-আইএসএফ একসুরে অভিযোগ করছে, শসকের বাধার মুখে বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। এই আবহে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মনোনয়নের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানান বিরোধীরা। জানা গিয়﷽েছে, শুক্রবারই বিরোধীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি হবে হাই কোর্টে।
উল্লেখ্য, আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তবে এর আগে মনোনয়ন পেশ পর্বেই লাগামহীন হিংসার সাক্ষী থাকল বাংলা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীদের মনোনয়ন পেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। ভাঙড় থেকে চোপড়া, সন্দেশখালি থেকে মিনাখাঁ। সর্বত্র হিংসার অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিরোধীরা। এই আবহে বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দেন, মনোনয়ন পেশের আগে বিরোধীদের একত্রিত হতে হবে। সেখান থেকে স্থানীয় থানার ওসি এসকর্ট করে ত༒াদের মনোনয়ন জমা দিতে নিয়ে যাবেন। তবে এই নির্দেশের পরও মনোনয়ন জমায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এর প্রমাণ স্বরূপ বিচারপতিকে ভিডিয়ো দেখানো হয় বলে জানান আইএসএফ-এর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। এই পরিস্থিতি বিরোধীদের মনোনয়ন জমার জন্য আর🅷ও একদিন দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিচে পারে কলকাতা হাই কোর্ট।
এদিকে হিংসার প্রেক্ষিতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। প্রসঙ্গত, গতকাল উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায় সিপিএম কংগ্রেসের মিছিলে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় এক বাম কর্মীর। এদিকে ভাঙড়েও গতকাল আইএসএফ-এর দুই কর্মীর মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে এখনও সেখানে পরিস্থিতি থমথমে। এসবের মাঝেই সারা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকা꧂তা হাই কোর্ট। এই আবহে রাতেই স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়েও রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। এই নিয়ে তৃণমূলের কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হলেও পঞ্চায়েত ভোটে জিতবে তৃণমಌূল কংগ্রেস’। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হলে পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যুমিছিল অন্তত থামবে।