আজ শনিবার সকাল থেকে বাংলায় চলছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই অশান্তির খবর আসছে। বিভিন্ন জেলায় দেখা গিয়েছে হিংসার ছবি। বিভিন্ন জেলায় বুথের মধ্যে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। এমনকী ভাঙচুর করা হয় ভোটগ্রহণ কেন্দ্র এবং ব্যালট পেপার ছিঁড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। কার্যত আতঙ্কের মধ্যে দিয়েই ভোট হচ্ছে বহু বুথে। তাতে শুধু সাধারণ ভোটারাই আতঙ্কিত নন, পুলিশ কর্মী, এমনকী পোলিং অফিসাররাও কার্যত আতঙ্কিত। আর সেই আতঙ্কের জেরে কেঁ𒁏দে ফেললেন এক পোলিং অফিসার। পুলিশের পা ধরে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাতর আর্জি জানালেন। এমনই ছবি দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায়। কার্যত পুলিশ অফিসারের পা ধরে ভোট গ্রহণ করতে পারবেন না বলেই আবেদন করেন ওই পোলিং অফিসার।
লাইভ আপডেট পড়ুন: West Bengal Panchay✨at Election 2023 Live: ‘রাজনৈতিক কারণে মৃত ৩’, পঞ্চায়েত হিংসা নিয়ে দাবি রাজীব স🌌িনহার
পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার কাষ্ঠগুড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। এদিন ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই সেখানে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ভোটকেন্দ্রে ঢুকে পড়ে ব্যালট বাক্🧸স ভাঙতে থাকে। ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মাথা ফেটে যায়। সেই ঘটনার জেরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পোলিং অফিসাররা। ঘটনার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে গড়বেতা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তখনই পুলিশ অফিসারদের পায়ে ধরে ভোট করাতে পারবেন না বলে কাতর আর্জি জানান পোলিং অফিসাররা।
বুথের সেকেন্ড পোলিং অফিসার লাল্টু মাইতি জানান, তাঁরা সকলেই যখন ভোটꦑ গ্রহণে ব্যস্ত ছিলেন তখন কিছু দুষ্কৃতী ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ে বুথের দরজাౠ বন্ধ করে দেয়। এরপরেই ভাঙচুর করতে শুরু করে। যাকে সামনে পেয়েছে তাঁকেই মারধর করতে থাকে। বাদ যায়নি পোলিং অফিসাররাও তাঁদেরকেও কলার চেপে ধরে বলে অভিযোগ।
লাল্টু মাইতির কথায়, ‘আমরা কোনওভাবে সেখান থেকে পালিয়ে এসেছি।’ ঘটনার জেরে লালটু মাইতি এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যে পুলিশ আসলে তিনি পুলিশের পা ধরে ভোট করাতে পারবেন না বলে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন হলে যা টাকা পোলিং ড🍎িউটির জন্য দেওয়া হয়েছে তা ফিরিয়ে দেব। এমনকী তার পাঁচ গুণ টাকাও দেব। আমরা চাই কোনওভাবে আমাদের এখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হোক। আমাদেরও সংসার রয়েছে। আমরা কোনওভাবে বেঁচে আছি। তাঁর কাতর আর্জি আর যেন তাঁকে কোথাও ভোটের ডিউটি না দেওয়া হয়। আমরা আর ভোট গ্রহণ করতে পারব না।’
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটে শুধু বিরোধীরাই নয় ভোট কর্মীরাও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু, এদিন পঞ্চায়েত ভোটের শুরুতে বহু বুথেই কেন্দ্র বাহিনী প্রথম থেকে চোখে পড়েনি। যার ফলে 💃অধিকাংশ জায়গাতে হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি বিরোধীদের।