মৃত্যুমিছিল জারি ভোট শেষেও। নির্বাচনী হিংসায় জখম এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হল আজ ভোরে। নিহতের নাম মৃতের নাম আজাহার লস্কর। জানা গিয়েছে, গতকাল ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষের পর রাজনৈতিক হিংসায় জখম হয়েছিলেন আজহার। পরে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। সেখানেই আজ সকলে মৃত্যু হয় তাঁর। (পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় খবর এবং লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে)
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বাসন্তীর জ্যোতিষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধারানিপুরে রাজনৈতিক হিংসাﷺয় জখম হয়েছিলেন আজহার। পরে তাঁকে রাতেই কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। তবে চিকিৎসকদের বহু প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাঁচানো যায়নি আজহারকে। আজ সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযোগ, আরএসপি সমর্থকদের হামলায় আক্রান্ত হয়েই জখম হয়েছিলেন আজহার।
তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর গতরাতে ভোট লুঠ করতে এসেছিল আরসএপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেই সময় তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূল কর্মীরা। সেই সংঘর্ষে জখম হন ৭ থেকে ৮ জন। জ্যোতিষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪১ নম্বর বুথে এই ঘটনাটি ঘটে। জখম ব্যক্তিদের মধ্যে আজহারের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। এই আবহে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য। তবে আজ ভো🐽ররাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে ভোট♈গ্রহণ চলাকালীন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে প্রাণ হারিয়েছিলেন এক ভোটার। মৃত ব্যক্তির নাম আনিসুর রহমান। দাবি করা হয়, তিনি তৃণমূল প্রার্থীর আত্মীয়। বোমার আঘাতে প্রাণ হারান তিনি। উল্লেখ্য, যুব ও তৃণমূলের মূল সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এর আগেও বাসন্তীর মাটি রক্তে লাল হয়েছিল। সেখানে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল নিজে। ভোটের দিনও রক্তাক্ত হয় বাসন্তী। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে দেয় ঘাসফুল শিবির। আর আজহারের মৃত্যুতে তৃণমূলের তরফে অভিযোগের আঙুল উঠেছে আরএসপির দিকে।
এদিকে গতকাল গোটা রাজ্যে যত জনের মৃত্🅰যু ঘটেছে, তার মধ্যে অধিকাংশই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বলে দাবি করা হচ্ছে। ভোট শেষে গতরাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থেকে এক তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনাটি ঘটেছে কুলতলির পশ্চিম গাবতলা এলাকায় ৯০ নম্বর বুথের কাছে। মৃত ব্যক্তির নাম আবু সাল﷽েম খাঁ। রাতেই সালেমের মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।