কোচবিহারের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী দিনহাটা। ভোট মানেই উত্তপ্ত 🎃হয় দিনহাটা। তবে এবার এখনও সেভাবে সংঘর্ষের খবর শোনা যায়নি। তবে একাধিক সূত্র বলছে, তলায় তলায় কিন্তু বিদেশি ঘোড়ার চাহিদা বাড়ছে। আসলে দুষ্কৃতী মহলে বেআইনি পিস্তল ঘোড়া নামেই পরিচিত। নাইন এমএম থেকে সেভেন এমএম, ভোট বাজারে তাদের চাহিদাই আলাদা।
তবে একটা সময় ছিল দেশি পিস্তল দিয়েই ক🐬াজ চালিয়ে দিত দুষ্কৃতীরা। চমকানোর কাজেও লাগত। আবার প্রয়োজনে দু একটি গুলি খরচও হত। বিহারের মুঙ্গের হয়ে হাত ঘুরে চলে আসত উত্তরবঙ্গে। কিন্🍎তু দেশি পিস্তলে মন ওঠে না দাদাদের। কেমন যেন প্রেস্টিজে লাগে। সেকারণে এখন একেবারে চকচকে নাইন এমএম- বা সেভেন এমএম।
কোমরে গোঁজা থাকলে তার নাকি কদরই আলাদা। তবে সূত্রের খবর, হাতে হাতে, কোমরে কোমরে ঘুরছে অস্ত্র, এমনটা নয়। ভোট এলে বেআইনি অস্ত্রের খোঁজে তৎপর হয় পুলিশ। সেকারণে অস্ত্রের কারবারিরাও সতর্🐲ক হয়ে যায়। সেকারণে অত্যন্ত গোপনে চলে এই কারবার।
সূত্রের খবর, দেশি ঘোড়া ২-৩ হাজারেই হয়ে যায়। তবে মুঙ্গেরের অস্ত্রের ফিনিসিং নাকি বেশ ভালো। দাඣমও বেশি। সেই অস্ত্র চোরাপথে উত্তরের একাধিক জেলায় চলে আসে বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, কোথাও ১৫-২০ হাজার, কোথাও আবꦿার ৩৫-৪০ হাজার টাকায় মেলে এই পিস্তল। গুলির দাম ৭০০-১০০০ টাকা। সবটাই হয় চোরাপথে। তবে একটা সময় অসম থেকেও কোচবিহারে ঘুরপথে অস্ত্র হাতবদল হত। তবে বর্তমানে সেই প্রবণতা অনেকটাই কমেছে বলে খবর। আর বেআইনি অস্ত্র সহ ধরা পড়লে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
তবে ইদানিং বেআইনি অস্ত্র কারবারের ঝুঁকি আগের তুলনায় অনেকটাই বেশি। কারণ পুলিশের সক্রিয়তﷺা। কোথাও যাতে অস্ত্রের ব্যবহার না হয় সেকারণে সবরকমভাবে সতর্ক হয়েছে পুলিশ। গত দুমাসে কোচবি🍌হার থেকে প্রায় ১৪টির বেশি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
এদিকে বেআইনি অস্ত্রকে ঘিরে শাসক-বিরোধীদের মধ্য়ে নানা চাপানউতোর থেকে﷽ই গিয়েছে। একে অপরের বিরুদ্ধে দায় চাপানো হয়। কিন্তু বাস্তবে কী হয়?
কোচবিহারের মাথাভাঙা, শীতলকুচি, দিনহাটা সহ জে💙লার বিভিন্ন প্রান্তে এই বেআইনি অস্ত্রের সন্🐬ধান অতীতে মিলেছিল। অতীতে একাধিক ঘটনায় দেখা গিয়েছিল অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়েছে। আর সেই বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে এসেছিল তা নিয়ে প্রশ্নটা বহুদিনের। তবে এবার বেআইনি অস্ত্র রুখতে আগাম সতর্ক হয়েছে পুলিশ।