লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফা মিটে গিয়েছে। বাকি আছে আর তিন দফা। তাই সর্বত্র জোরকদমে নির্বাচনী প্রচার–সভা–সমাবেশ চলছে। পঞ্চম দফার প্রস্তুতি চলছে জেলায় জেলায়। এই আবহের মধ্যেই বরানগর বিধানসভায় উপনির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। তাই সব রাজনৈতিক দল প্রার্থী ঘোষণা করে জোরদার প্রচারে নেমেছে। মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছে সবার। কিন্তু এবার বরানগর বিধানসভার উপনির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই কেন🐽্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন একাধিক ‘সজল ঘোষ’। অর্থাৎ উত্তর কলকাতার কাউন্সিলর সজল ঘোষকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। আবার ওই কেন্দ্রে একই নামে রয়েছেন আরও একজন প্রার্থী। নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন সজলকুমার ঘোষ। এই বিষয়টি জানতে পেরেই সোচ্চার হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ।
কে এই নির্দল প্রার্থী সজলকুমার ঘোষ? স্থানীয় সূত্রে খবর, বরানগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ৪১/৯ প্রাণকৃষ্ণ সাহা লেনের বাসিন্দার নাম সজলকুমার ঘোষ। বিদ্যাবুদ্ধি বলতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষায় পাশ। এই সজলকুমার ঘোষ বরানগরের ভিক্টোরিয়া হাইস্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তারপর আর পড়াশোনা করেননি এই নির্দল প্রার্থী। এই প্রার্থীর বাবার নাম নারায়ণচন্দ্র ঘোষ। নির্দল প্রার্থী সজলকুমার ঘোষ হলফনামায় জানান, তাঁর হাতে মাত্র নগদ দু’হাজার টাকা রয়েছে। আর ব্যাঙ্ক𓃲 অ্যাকাউন্টে আছে ৫৫ হাজার ৩২ টাকা। সোনার কোনও গয়না এবং নিজস্ব বাড়ি নেই। সমাজসেবাই পেশা।
আরও পড়ুন: ময়নার বিজেপি নেতা খুনের তদন্ত করবে এনআইএ, রায় বহাল রাখল কলক💖াতা হাইকোর্ট
কেমন প্রভাব পড়েছে বরানগরে? এই বরানগর উপনির্বাচনে নির্দল প্রার্থীক🔯ে ঘিরে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন, আরে এ তো পাড়ার ছেলে। কেউ বলছেন, দু’জনের নামই সজল। বিজেপির লোকজন ভুল করে নির্দল সজলকে না ভোট দিয়ে জিতিয়ে দেন। এই নির্দল প্রার্থী সজলকে দেখতে তাই কৌতূহল বেড়েছে মানুষের মধ্যে। যদিও সংবাদমাধ্যমে নির্দল প্রার্থী সজলকুমার ঘোষ কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা কোনও গোঁজ প্রার্থী দেয়নি। বরং ওই বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী বলছেন বিজেপি প্রার্থী? এখানে বিজেপি প্রার্থীর নামও সজল ঘোষ। এলাকার মানুষ কাউন্সিলর বলে চেনেন। কিন্তু এমন ঘটনায় ক্ষেপে গিয়েছেন তিনি। তাই এই বিষয়ে বরানগরের বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ বলেন, ‘এটা বালখিল্য রাজনীতি। মানুষ বোঝে কোনটা আসল আর কোনটা নকল। মানুষকে যারা মূর্খ ভাবে তাদের থেকে বড় মূর্খ আর কেউ নেই। এগুলি করা হচ্ছে হারের ভয়ে। ভাবছে যদি ২০০ ভোটও নষ্ট করা যায়। ইয়ে ডর মুঝে অচ্ছা লাগা। এতে ভোটে কোনও প্রভ🌄াব পড়বে না। এখনকা꧙র দিনে প্রার্থীর ছবি থাকে, নাম থাকে, প্রতীক থাকে। মানুষ শিক্ষিত। কোনও প্রভাব পড়বে না।’