সাম্প্রতিককালে বারবার কংগ্রেস দাবি করেছে, ফের ক্ষমতায় এলে বিজেপি নাকি সংবিধান বদলে দেবে। এমনকী বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতার গলাতেও শোনা গিয়েছিল 'সংবিধান পরিবর্তনের' দাবি। তবে এবার সংবিধান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য শোনা গেল গোয়ার কংগ্রেস প্রার্থীর গলায়। দক্ষিণ গোয়ার কংগ্রেস প্রার্থী ভিরিয়াটো ফার্নান্ডেস বলেন, 'গোয়ার ওপরে ভারতীয় সংবিধান জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।' এই আবহে গোয়ার বাসিন্দাদের জন্য দ্বৈত নাগরিকত্বের দাবি তোলেন ফার্নান্ডেস। কংগ্রেস প্রার্থী এক নির্বাচনী জনসভা থেকে দাবি করেন, রাহুল গান্ধীর কাছে তিনি দাবি জানিয়েছেন যাতে ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস সরকার গোয়ার বাসিন্দাদের দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকার দেয়। (আরও পড়ুন: 'মুখ্যমন্ত্রীর জলে ডুবে মরা উচিত', মমতার 'মৃত্যুℱ কামনা' করে ফের বিতর্কে দিলীপ)
আরও পড়ুন: ꦚমোদীর 'মুসলিমদের সম্পদ পুনর্বণ্টন' অভিযোগের জের,﷽ পুলিশে এফআইআর করল সিপিএম
এদিকে ফার্নান্ডেসের এহেন মন্তব্যের জবাবে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত বলেন, 'কংগ্রেসের এই ভারত ভাঙার রাজনীতি এখনই বন্ধ করতে হবে।' তিনি বলেন, 'দক্ষিণ গোয়ার কংগ্রেস প্র𓂃ার্থী দাবি করছেন, গোয়ার ওপরে ভারতীয় সংবিধান জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আনি এই কথা শুনে হতবাক। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করতেন যে গোয়া ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কংগ্রেস গোয়ার স্বাধীনতা পিছিয়ে দিয়েছিল প্রায় ১৪ বছরের জন্য। এখন তাদের দলের প্রার্থী আমাদের সংবিধনকে নীচু দেখানোর চেষ্টা করছেন। আমাদের গণতন্ত্রের জন্য কংগ্রেস খুবই ক্ষতিকর একটা দল।'
আরও পড়ুন: রাজারামের ৫ লিঙ্কম্যান 🍸আছে কলকাতায়, সন্দেহভাজনদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ
এদিকে ফার্নান্ডেস কী বলেন? কংগ্রেস প্রার্থীর কথায়, 'গতবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে ২০১৯ সালের ১০ মার্চ রাহুল গান্ধী গোয়ায় এসেছিলেন। তখন তিনি কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন। আমরা তখন তাঁর সঙ্গে দেখা করে গোয়ার জন্য ১২ দফা দাবি রেখেছিলাম। তার মধ্যে অন্যতম ছিল এই দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়টি। তখন রাহুল গান্ধী আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এটা কি সাংবিধানিক। আমি বলি - না। তখন তিনি বলেছিলেন, তাহলে এটা নিয়ে আর কথা হবে না। এরপর আমি তাঁকে বুঝিয়ে বলি, সংবিধান কার্যকর হয়েছিল ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি। আর গোয়া স্বাধীন হয়েছিল ১৯৬১ সালে। এই সংবিধান আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমি তারপর তাঁকে জানাই যে এই গোয়ার আজাদ ময়দনে এসে জওহরল🐟াল নেহরু বলেছিলেন যে গোয়ার মানুষরাই গোয়ার ভাগ্য নির্ধারণ করবে।'
কিন্তু কেন এই দ্বৈত নাগরিকত্বের দাবি? ফার্নান্ডেসের বক্তব্য, 'গোয়ার বাসিন্দারা গিয়ে পর্তুগালের নাগরিকত্ব গ্রহণ করছেন। কারণ গোয়ায় তারা কাজ পাচ্ছে না। ওরা পর্তুগালকে ভালোবাসে বলে সেখানকার নাগরিক𒀰ত্ব গ্রহণ করছে না🔯। শুধুমাত্র অন্নসংস্থানের জন্যেই সেটা করছে।' ফার্নান্ডেস দাবি করেন, রাহুল নাকি তাঁর পুরো কথা শুনে সেটাকে যুক্তিযুক্ত আখ্যা দিয়েছিলেন।