বিজেপির বিরুদ্ধে ‘ভোট জেহাদ’ মন্তব্য করে বিপাকে পড়লেন প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী সলমন খুরশিদ এবং তাঁর ভাইঝি তথা সমাজবাদী দলের নেত্রী মরিয়া আলম খান। এই ঘটনা🦄য় প্ররোচনামূলক মন্তব্যের অভিযোগে তা🧸ঁদের বিরুদ্ধে এবার ফতেহগড় জেলার কেয়ামগঞ্জ থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ এবং ২৯৫ এ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন: 'সঙ্ঘী সরকℱারকে সরাতে ভোট জেহাদ করুন,' বিতর্ক উসকে দিলেন সমাজবাদী মারিয়া, দেখুন ভিডিয়ো
নির্বাচনী আধিকারিকদের বক্তব্য, কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ এবং তাঁর ভাইঝি মারিয়া আলম খান ‘জেহাদ’ শব্দটি ব্যবহার করে মেরুকরণের চেষ্টা 𓆉করেছেন। এটি করে তাঁরা আদর্শ আচরণবিধির লঙ্ঘন করেছেন। তাঁদের এই ধরনের মন্তব্য হল প্ররোচনামূলক। এই কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার🎀 সন্ধ্যায় ফররুখাবাদ ব্লকের কোতোয়ালি এলাকার মহল্লা চিলাঙ্কায় ইন্ডিয়া জোটের সমর্থনে একটি নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে ওই দুই নেতা নেত্রী ছাড়াও দুই দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এটিই ছিল এখানে ইন্ডিয়া জোটের সমর্থনে প্রথম জনসভা। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মরিয়া বলেন, ‘একসঙ্গে ভোট জেহাদ করুন-বুদ্ধিমত্তার ꦦসঙ্গে, আবেগপ্রবণ না হয়ে এবং নীরবতার সঙ্গে। আমরা এই সঙ্ঘী সরকারকে তাড়ানোর জন্য শুধু ভোট জেহাদ করতে পারি।’ জনসভায় কংগ্রেসের তারকা প্রচারক খুরশিদের সামনেই ভোট জিহাদের আবেদন করেছিলেন মারিয়া আলম।
তিনি মানবতা এবং সংবিধান হুমকির মুখে বলে আশঙ্কা প্রকাশ💜 করেন। ভোটারদের সতর্ক করে বলেন, ‘সকলেই বলে সংবিধান ও গণতন্ত্র হুমকির মুখে। কিন্তু, আমি বলি মানবিকত𓄧া হুমকির মুখে।’
তাঁর এই বক্🔯তব্যের ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে খুরশিদ ও মারিয়া আলমের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। মারিয়া আলম আরও বলেছিলেন, ‘দেশ ও সংবিধান বাঁচাতে আমরা কি জিততে পারি না🐓! আমাদের সমাজকে সচেতন হতে হবে এবং ভোট জেহাদ করতে হবে।’
তবে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে খুরশিদ বলেন, ‘আমি এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করি না। কারণ এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করলে তা অন্যায়ভাবে ব্যাখা করা হয়।’ তিনি বলেন, জেহাদ মানে হল একটি পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করা। তাঁর মন্তব্যের আসল লক্ষ্য ছিল যে ভারতের সংবিধা🥀নকে রক্ষা করা।