শ্লীলতাহানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবার প্রকাশ্যে বিবৃতি দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আবার রাজভবনের স্থায়ী–অস্থায়ী কর্মীদের তিনি জানান, এই নিয়ে পুলিশ কোনওরকম তথ্য চাইলে তা না দিতে। তাঁর সাফাই, সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যপালদের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি পদক্ষেপ করা যায় না। যদিও ইতিমধ্যেই লালবাজারের পক্ষ থেকে এই ইস্যুতে তদন্ত করা হচ্ছে। এতে অখুশি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাই এবার রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ যে অনুসন্ধান করছে সেটা বেআইনি বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ൩সংবিধানের ৩৬১ ধারা অনুযায়ী রাজ্যপালের রক্ষাকবচের কথা স্মরণ করিয়ে চিঠিতে দ্রুত অনুসন্ধান বন্ধ করতে বলেছেন রাজ্যপাল বলে সূত্রের খবর। এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে রাজভবনে কর্মরত অস্থায়ী কর্মীদের কাজের পর্যালোচনা শুরু হয়োছে। ২ মে রাজ্যꦡপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেন রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মী। ওই দিন রাতে হেয়ার স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অভিযোগকারী যুবতী। তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়। আর তার পরেই অস্থায়ী কর্মীদের কাজেরꦯ পর্যালোচনা শুরু হয়েছে রাজভবনে। এখন রাজভবনে প্রায় ৪০ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। তাঁদের কাজ, আসা–যাওয়া এবং নানা তথ্য পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। ডিসি (সদর) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আট সদস্যের সিট গঠন করেছে লালবাজার। রাজভবনের ওসির কাছে ওইদিনের ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ চেয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে এই অনুসন্ধান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: ঝাঁপিয়ে বৃষ্টিতে ভিজল কল্লোলিনী কলকাতা, শিলাবৃষ্টির ꧙সাক্ষী থাকল ♌বিজয়গড়–নিউ আলিপুর
অন্যদিকে রাজ্যপাল নিজেও রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে নিয়ে আসবেন বলে আগে জানিয়েছিলেন। অভিযোগের তদন্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে রাজভবনে চিঠি পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ। চিঠিতে ইপিবিএক্স অফিসের এন্ট্রি ও রাজ্যপালের চেম্বারের সামনের করিডরের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ဣে পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হয়েছে। রাজভবনের এক্স হ্যান্ডেলে ইতিমধ্যেই একটি বিবৃতি পোস্ট করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, ‘সচ কা সামনা’ নামে এক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন রাজ্যপাল। সেখানে ইমেল আইডি ও ফোন নম্বর জানান তিনি। প্রথম ১০০ জন আবেদনকারীকে রাজভবনের ভিতরের সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হবে।
এছাড়া সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস বুধবার রাজভবন পাল্টা জানিয়েছে, এই সিসিটিভি ফুটেজ তারা প্রকাশ করবে। তবে সবার জন্য নয়। রাজভবনের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও নাগরিক ওই সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে পারবেন। পারবেন না শুধু দু’পক্ষ— এক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দুই, তাঁর পুলিশ।’ রাজ্যপালের কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নোংরা রাজনীতি করছেন। আমি যতই রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকতে চাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ততই রাজনীতিতে টেনে আনছেন। রাজভবনে দিদিগিরি বরদা🐼স্ত করা হবে না।’