একদিন এই নন্দীগ্রাম সরণি ধরেই বাংলার মসনদে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর সেই নন্দীগ্রামই এখন তৃণমূলের কাছে কার্যত গলার কাঁটা। এই নন্দীগ্রাম থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন মমꦐতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিকে ভোটের ষষ্ঠদফায় এই নন্দীগ্রামেই দফায় দফায় অশান্তি হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে এ𝔉বার মুখ খুললেন মমতা।
তিনি নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চ থেকে এনিয়ে তীব্র তোপ দেগেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ নন্দীগ্রামে আবার গুন্ডামি করেছে। খেজুরিতে আবার গুন্ডামি করেছে। কাল রাতে মহিষাদলে আমাদের এক কর্মীকে খুন করেছে। আমি এদের ছাড়ব না। মনে রাখবেন রা🌱জনৈতিক বদলা আমি নেবই নেব।’ একেবাꦐরে তীব্র হুঁশিয়ারি মমতার।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, শনিবার সকালে থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় নন্দীগ্রামে। সকাল থেকেই তমলুকে বিজেপি ও 🐽তৃণমূল একে অপরকে নিশানা করে তির ছুঁড়তে শুরু করেন।
তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের তাড়ানো হচ্ছে। আমাদের দু'জন বুথ এজেন্টকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তা🦩ঁদের কোথায় গায়েব করে দেওয়া হয়েছে আমরা এখনও পর্যন্ত জানি না। নন্দীগ্রামে একটি বুথে প্রিসাইডিং অফিসার উঠে ভোটারকে দেখিয়ে দিচ্ছেন কোথা൩য় ভোট দিতে হবে। এনিয়ে সাধারণ অবর্জাভারকে হোয়াটসঅ্যাপ করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, টুকলি করে পাস করা যায়। কিন্তু ফার্স্ট হওয়া যায় না। শুভেন্দুবাবু বৃথা চেষ্টা করছেন।’
এমনকী ভোটারদের আটকাতে সেতু ভেঙে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। ভোটারদের বুথে যেতে আটকাতে নন্দীগ্রামে♑𝔍 সেতু ভাঙার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তবে বিজেপি এই অভিযোগ মানতে চায়নি। অন্যদিকে নন্দীগ্রাম ২ নং ব্লকের বিরুলিয়া ১৩৪ নং বুথের অঞ্চল সভাপতি অরুনাভ জানাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে।
এদিকে তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু শনিবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করেন যে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ার একটি বুথে 🔜ছাপ্পা চলছে। তিনি বলেন, ‘নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের সোনাচূড়া অঞ্চলের ২৭৯ নম্বর গঙ্গা বাসুলি প্রাইমারি স্কুলে অবাধ ছাপ্পা দিচ্ছে বিজেপি! শুভেন্দুবাবু, লজ্জা করুন একটু।’
তৃণমূলের অভিযোগ পাওয়ার পরই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করে দেখা হয়। দেবাংশু যে বুথে ছাপ্পার অভিযোগ তোলেন, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরের কর্মীরা। তারপর মুখ্য নির্বা♚চনী আধিকারিক জানান যে ছাপ্পাভোট পড়েনি। তবে শনিবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব বলেছেন, ‘এটা ভুল খবর। ওই বুথে ভিভিপ্যাট পরিবর্তন করতে হয়েছিল। ছাপ্পার কোনও ঘটনা ঘটেনি।’