লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে এখন জোরদার চলছে সভা–সমাবেশ। ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণ পর্বের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে সব রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচন কমিশনের। এই আবহে একের পর এক নির্বাচনী জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নন্দীগ্রামের পর ভাঙড়ে সেই ঢেউ যেন আছড়েꦕ পড়ল। উত্তরবঙ্গ থেকে জঙ্গলমহলে যে ছবি দেখা গিয়েছিল সেই রেকর্ড ভিড় আজ ভেঙে গেল। আর এই জনসমুদ্রের সভা থেকেই নাম না করে নওশাদ সিদ্দিকীকে তোপ দাগলেন তিনি।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষের সমর্থনে নির্বাচনী সভা করেন অভিষেক। সেখানেই ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়কের বিরুদ্ধে একের পর এক বাক্যবাণ নিক্ষেপ করেন তিনি। ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বৃহস্পতিবার সভা থেকে বলেন, ‘২০২💮১ সালে যাঁকে আপনারা বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত করেছিলেন, তিনি ৩ বছর ধরে বিজেপির বি–টিম হয়ে কাজ করছেন। আমি বিধায়কের নাম মুখে আনব না। কিন্তু ভাঙড়বাসীকে বলব, এখান থেকে যাঁকে আপনারা ৩ বছর আগে প্রায় ২৩–২৪ হাজার ভোট জিতিয়েছিলেন, আপনাদের প্রতিনিধি করে বিধানসভা পাঠিয়েছিলেন তিনি বিজেꩲপির বি–টিম হয়ে কাজ করছেন। এর জবাব দেবেন না?’
আরও পড়ুন: রায়গঞ্জ বিশ্বব༒িদ্যালয়ে কি দুর্নীতি হয়েছে? অডিট করতে𒁏 পা রেখেছে সিএজি টিম
অভিষেকের প্রশ্নের জবাবে হর্ষধ্বনি দিয়ে জনসমুদ্র থেকে আওয়াজ আসে, ‘হ্যাঁ দেব’। এই কথা শুনে ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলা এবং শান্তি–সম্প্রীতির জন্য কলকাতা পুলিশকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান। কলকাতা পুলিশ এখন ভাঙড় দেখেন। আর অভিষেকের বক্তব্য, ‘এখানে যারা বোমা–বন্দুকের রাজনীতি করত তাদের খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে। যে কলকাতা পুলিশকে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সঙ্গে তুলনা করা হয় এখন তারা এখানের আইনশৃঙ্খলা সামলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাঙড়বাসীর শান্তির কথা চিন্তা করেই এই পদক্ষেপ 😼করেছেন। সিএএ–এনআরসি’র বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন আন্দোলন সংগঠিত করছেন তখন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা করেছেন ভাঙড়ের বিধায়ক।’
এছাড়া বাংলার গরিব মানুষের জন্য কোনও কাজ করেননি বলেও অভিযোগ তোলেন অভিষেক। নওশাদ সিদ্দিকীকে কাঠগড়ꦇায় দাঁড় করিয়ে অভিষেক বলেন, ‘একশো দিনের কাজ, আবাসের টাকা যখন নরেন্দ্র মোদীর সরকার আটকে রেখেছে তখন এখানের বিধায়ক একটা কথাও বিজেপির বিরুদ্ধে বলেছে! একটা চিঠি লিখেছে গরিব মানুষের জন্য? এই প্রশ্ন করবেন ভোট চাইতে এলে। এই ভাঙড়ের বিধায়ক, যখন শুভেন্দু বলেছে, উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্য়নাথের মতো বাংলায় সংখ্যালঘুদের বাড়ি আমরা বুলডোজার দিয়ে ভাঙব, তখন তিনি বলেছেন, বিধোধী দলের নেতা ভাল কাজ করছে, আমি তাঁকে সমর্থন করি।’