ꦉ অন্ডাল বিমানবন্দরে অমিত শাহকে বিদায় জানিয়ে ছিলেন কয়েকজন বিজেপি নেতা। তবে তার মধ্যে একজন ছিলেন ‘কয়লা মাফিয়া’ বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। এই অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। সরাসরি সেই বিজেপি নেতার নাম নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের এই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকল বিজেপি। আজ, রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি নেতা জিতেন চট্টোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, কয়লা মাফিয়া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগে তাঁর সম্মানহানি ঘটছে। মন্ত্রী শশী পাঁজাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলে জিতেন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ক্ষমা না চাইলে মানহানির মামলা করবেন তিনি।
🍒এদিকে অন্ডাল বিমানবন্দরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে ১৬ জন উপস্থিত হন। তাঁর মধ্যে একজনের নাম নিয়েই সুর চড়িয়ে ছিলেন শশী পাঁজা। ১০ মে বাংলায় লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসেছিলেন অমিত শাহ। জনসভা সেরে অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে শাহ দিল্লি ফিরে যান। সেখানে শাহের সঙ্গে দেখা যায়, জয়দেব খাঁ, লক্ষ্মণ ঘোড়ুই–সহ অন্যান্য নেতাদের। এই দু’জনকেই ‘কয়লা মাফিয়া’ বলে দাগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়। আর মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘ওই তালিকায় থাকা জয়দেব খাঁ ও লক্ষ্মণ ঘোড়ুই প্রতিষ্ঠিত কয়লা মাফিয়া।’
আরও পড়ুন: ♍রাজভবনের আরও চারজন কর্মীকে তলব করল লালবাজার, শ্লীলতাহানি ইস্যুতে নোটিশ
🌼অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করা হয়। যেখানে ওই নেতাকে (জয়দেব খাঁ) সবুজ রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের এই বক্তব্য নিয়েই আপত্তি তুলে নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকেছে বিজেপি। পূর্ব বর্ধমান জেলা মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জিতেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। তিনি কেমন করে প্রতিষ্ঠিত কয়লা মাফিয়া হলেন? ওই তালিকায় থাকা সবাইকেই কয়লা মাফিয়া বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র। এটা অন্যায়।’ যদিও তৃণমূল কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি এবং নাম পোস্ট করেছেন সেখানে শুধু একজন অর্থাৎ জয়দেব খাঁর নাম রয়েছে।
ꦏতাহলে বিজেপি কেন দু’জনের নাম তুলছে? উঠছে প্রশ্ন। অমিত শাহের সঙ্গে যে ছবি পোস্ট করা হয়েছে সেখানেও একজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও আজ, রবিবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপির এই নেতা। এমনকী হুঁশিয়ারি দেন, রাজ্যের মন্ত্রী এই নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে মানহানির মামলা করবেন তিনি। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, মামলা করলে প্রমাণ আদালতে দেওয়া হবে। আইন আইনের পথে চলবে। বিজেপি নেতাদের মুখে আর এসব কথা মানায় না। যারা ষড়যন্ত্র করে সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটায়।