লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফা মিটে গিয়েছে। বাকি আছে আর তিন দফা। তাই সর্বত্র জোরকদমে নির্বাচনী প্রচার–সভা–সমাবেশ চলছে। পঞ্চম দফার প্রস্তুতি চলছে জেলায় জেলায়। এই আবহে আজ, বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের হয়ে প্রচার করতে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী সৌমিত্র খাঁকে তীব্র নিশান𒈔া করেন অভিষেক। কাজ না করা এবং নিজের স্ত্রীর সঙ্গ ছেড়ে দেওয়া–সহ নানা ইস্যুতে বিঁধেছেন অভিষেক।
সৌমিত্র খাঁ এখানে বিজেপির টিকিটে ২০১৯ সালে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু বিষ্ণুপুরের মানুষের জন্য কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করেননি বলে অভিযোগ অভিষেকের। আর তারপরই জনগণের উদ্দেশে অভিষেকের বার্তা, ‘এই বিষ্ণুপুর লোকসভায় বড়জোড়া আর খণ্ডঘোষ ছাড়া পরাজিত হয়েছে তৃণমূল কংগ্র༺েস। তৃণমূল কংগ্♌রেসকে জেতানোর দায়িত্ব এবার আপনাদের। আপনারা সুজাতাকে জেতান, বাঁকুড়া–বিষ্ণুপুরে যতদিন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা থাকবে ততদিন আমরা আপনার লক্ষীর ভাণ্ডারকে বুক দিয়ে আগলে রাখবো। বিজেপি বলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেব। আর সৌমিত্র খাঁ খণ্ডঘোষে সভা করতে গিয়ে বলছে ৩০০০ টাকা করে দেব। সৌমিত্র খাঁ যতদিন তৃণমূলে ছিল আপনাদের টাকা আটকাতে পারেনি। যেই বিজেপিতে গেল ওমনি আপনাদের টাকা বন্ধ করে দিল। সৌমিত্র খাঁয়ের উচিত কী কাজ করেছে জবাব দেওয়া।’
আরও পড়ুন: কাঁথিতে সৌমেন্দুর বি🦂রুদ্ধে প্রার্থী আদি꧙ বিজেপি নেতা, সমর্থন করল হিন্দু মহাসভা!
এখানেই শেষ নয়, বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় হাইস্কুল মাঠে যখন কানায় কানায় মানুষ ভর্তি তখন বিজেপি এবং সৌমিত্র খাঁয়ের হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন অভিষেক। অভিষেকের বক্তব্য, ‘এই লোকসভায় দু’হাজার বুথ আছে। প্রধানমন্ত্রী এখানে সভা করতে আসেন। সেই মঞ্চে আম🔯াকে ডাকা হোক। তোমাদের সরকার কী করেছে? আর আমাদের সরকার কী করেছে? তার হিসেব দেব। ইন্দাসে গতবছর বজ্রপাতে ৫০ জন আহত হয়। একজন মারাও যান। আমি এসে প্রত্যেকের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছিলাম। সোনামুখীতে বসবাসকারী এক সেনা জওয়ান মণিপুরে নিহত হয়েছিল। এই সৌমিত্র খাঁ গিয়ে জিজ্ঞাসা করেনি কেমন আছে তাঁরা! সন্দেশখালির ভিডিয়ো আপনারা দেখেছেন? ওখানকার বিজেপি মণ্ডল সভাপতি বলছেন, কোনও ধরণের ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। শুভেন্দু অধিকারীর অঙ্গুলিহেলনে মহিলাদের দু’হাজার টাকা দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে থানায় জমা দিয়েছি।’
এরপরই সুজাতা–সৌমিত্রর জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা তুলে আনেন অভিষেক। কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন সৌমিত্র খাঁকে। তাঁর কথায়, ‘যে নিজের সহধর্মিণীর হাত ছেড়ে দেয় সে কী করে নারীদের উন্নয়নের কথা বলবে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৯ সালে সৌমিত্র এখানে প্রচার করতে পারেনি। সুজাতা প্রচার করেছিল বিষ্ণুপুরে। আর খণ্ডঘোষে প্রচার করেছিল সৌমিত্র। সেখানে ৩০ হাজার ভোটে হেরেছিল। এই সৌমিত্র খাঁ ২০২২ সালে বিজেপির দুই বিধায়ককে পাশে বসিয়ে বাঁকুড়া–🅠সহ জঙ্গলমহলকে আলাদা রাজ্যের দাবি তুলেছিল। প্রধানমন্ত্রী আসলে জিজ্ঞাসা করবেন, যারা বাংলা ভাঙতে চায় তাকে আবার টিকিট দিলেন? ১২ মাসে ১২ দিন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বিষ্ণুপুরে আসেন না। দিল্লিতে গিয়ে ফূর্তি করেন। তাই নিজের অধিকার রেখে ভোট দিন।’