আজ, সোমবার চতুর্থ দফার ভোট চলছে রাজ্যের ৮টি লোকসভা কেন্দ্রে। অন্যান্য নানা ঘটনার মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে কৃষ্ণনগরে। পলাশিপাড়া বিধানসভার পলশুণ্ডা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বারুইপাড়া শিশু শিক্ষা কে꧅ন্দ্র ৫৯ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের বোতাম টিপলে বিজেপির আলো জ্বলে উঠছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ তুলে আজ তৃণমূল কর্মীরা সরব হলে ভোট বন্ধ হয়ে যায়। নতুন ইভিএম এনে ভোট চালু করার ব্যবস্থা চলছে। প্রিসাইডিং অফিসারকে বিষয়টি জানানোর পর বদলে দেওয়া হয় ইভিএম মেশিন। বেশ কিছুক্ষণ ভোটদান প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার পর ফের চালু হয়।
এদিকে ছাপ্পা ভোটে মদত দেওয়ার অভিযোগে ইলামবাজার ২৫ নম্বর বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে খবর, এখানেও একশো শতাংশ বাজিমাত করেছে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে ওয়েব কাস্টিং ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে দ꧒েখা যায়, ইলামবাজারের ২৫ নম্বর বুথে একটি লোক একাধিকবার ঢোকার চেষ্টা করছে। বারবার সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করছিল সে। কোনওরকম ব্যবস্থা নেয়নি বুথের সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসার। তাই তৎক্ষণাৎ ওই প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দিল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। রিজার্ভ রাখা অন্য ভোট কর্মীদের। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে প্রিসাইডিং অফিসারকে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: ‘নকুলদান🅷া’ থেকে ‘চড়াম চড়াম ঢাক’🍌 কিছু নেই কেষ্টভূমে, লোকসভা নির্বাচনে শূন্যতা বীরভূমে
অন্যদিকে বিজেপির হয়ে নির্বাচন কমিশনের একাংশ কাজ করছে বলে নবদ্বীপ ব্লকের তিওয়রখালি বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটগ্রহণ কেন্দ্র পরিদর্শনে করে বললেন রানাঘাটের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। বেলডাঙার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। বর্ধমান– দুর্গাপুর লꦑোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মন্তেশ্বর ব্লকের শুশুনিয়া জিপির তুল্লা গ্রামে বুথ নম্বর ৫৬ ও ৫৭ নম্বর বিজেপি এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি এবং মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। আবার খুরজুনা গ্রামের বাসিন্দা রেশমা বিবি শেখ দুপুরে তিনি ভোট দিতে আসেন খোড়জুনা উচ্চ বিদ্যালয়ে। কিন্তু ওই মহিলার অভিযোগ, ভোট দিতে এসে তিনি ভোট দিতে পারলেন না। কারণ এখানে এসে জানতে পারলেন ভোটার তালিকায় তিনি মৃত অবস্থায় আছেন।
এছাড়া শক্তিপুর বাজার এলাকার দুটি বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাই নিয়ে আবার বেলাগাম মন্তব্য করেন হুমায়ুন কবীর। তাঁর অভিযোগ, রামনবমীতে অস্ত্র নিয়ে মিছিল হয়। তারপর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন⛄্ত্রীকে এনে হুমকি দেওয়া হয়েছে সংখ্যালঘুদের। হিন্দু প্রধান এলাকায় তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেওয়া হচ্ছে না। কংগ্রেস আর বিজেপি হাতে হাত মিলিয়ে এমন কাজ করেছে। তবে তারপরও ওরা জিততে পারবে না বলে দাবি হুমায়ুন কবীরের। সব এজেন্টদের কাছে মোবাইল আছ। ইউসুফ পাঠান বুথে ঢুকতেই সেলফি তুলতে শুরু করে। তারপর সেন্ট্রাল ফোর্স মোবাইল কেড়ে নিচ্ছে। তবে বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের অভিযোগ তাঁকে পুলিশ চোখ মেরেছে।