লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দপার আগে নির্বাচনী প্রচার থেকে নাম না করে বিজেপির দুই হেভিওয়েট প্রার্থী অর্জুন সিং–শান্তনু ঠাকুরকে কড়া ভাষায় এবার বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যান অর্জুন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে তৃণমূল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন করেন অর্জুন সিং। তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেও ভাটপাড়ার এই নেতা নিজেকে বদলাননি বলে বিঁধেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এখন আবার অর্জুন সিং টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে গিয়েছেন। আর শান্তনুর নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বিদ🧜ায়ী কেন্দ্রীয় প্র𝓡তিমন্ত্রী নাগরিকত্ব দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন।
এদিকে বিজেপিতে গিয়ে অর্জুন সিং আবার টিকিটি পেয়ে 🉐লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করছেন ব্যারাকপুর থেকে। এই বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসে সোমবার ব্যারাকপুরে নির্বাচনী প্রচারে অর্জুনের নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ছিল একসময়ে, ভাবতাম হয়তো বদলে গিয়েছে। কিন্তু বলি না আমরা, ময়লা যায় না ধুলে, কয়লাও যায় না। এখন বলে বেড়াচ্ছে, তৃণমূল চোর। আমি বলি, ওরে হরিদাসরা কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন করছিস। টꦗাকা কোথা থেকে আসছে। এখানে অশান্ত বাতাবরণের সময়ে কাঁচড়াপাড়া, নৈহাটি, ভাটপাড়া, জগদ্দল, হালিশহরে একা ঘুরে বেড়িয়েছি। এখানে একটার পর একটা পার্টি অফিস খুলেছি। বলেছি, আয় দেখি ক্ষমতা থাকলে বন্দুক নিয়ে দাঁড়া।’
আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে রাত পাহারায় মহিলারা, ভিডি✨য়ো দিয়ে কড়া পোস্ট করলেন অমিত মালব্য
অন্যদিকে এই ঘটনার সালটা ছিল ২০১৯। যখন বিজেপির টিকিটে জিতে অর্জুন সিং পরিবেশ তপ্ত করে তুলেছিল বলে অভিযোগ। তাই ভাটপাড়ার সিং পরিবারকে ‘ডেঞ্জারাস’ বলে বিঁধেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যারাকপুরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী তুলে আনেন নোয়াপাড়ার কংগ্রেস নেতা বিকাশ বসুর খুনের ঘটনা। তাঁর বক্তব্য, ‘একজন স্বজন আছে, তিনি আবার জেলে বসে প্ল্যান করেন কী করে বাইরে মার্ডার করা যায়। এখন বাবু জেলে রয়েছে। ভাবছে, জেল থেকে বেরিয়ে প্ল্যান করব, কাউকে মার্ডার করার। যেমন বিকাশকে করেছিল। ডেঞ্জারাস। ৪৪০ ভোল্ট। এঁদের ছুঁতে নেই। ছুঁলেও দ🉐োষ, না ছুঁলেও দোষ।’
এছাড়া বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকেও একহাত নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। উত্তর ২৪ পরগনার মতুয়া গঞ্জে সিএএ নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন শান্তনু ঠাকুরকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, ‘আপনাদের এখানে যিনি প্রার্থী হয়েছেন তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। কোনও কাজ করেছেন? কিচ্ছু করেননি। শুধু ঘুꦯরে বেড়িয়ে নাগরিকত্ব দেব বলে টাকা তুলেছেন। খবর আছে আমার কাছে। মোদী বলেছেন, সিএএ করবই। আমিও বলছি, গায়ের জোরে মতুয়াদের অধিকার কেড়ে নিতে দেব না। এটা করতে হলে, আপনাদের গায়ে হাত দেওয়ার আগে আমার জিন্দা লাশের উপর দিয়ে মোদীকে পেরোতে হবে। বি🔜জেপির যিনি প্রার্থী তাঁকে বলুন প্রথমে আবেদন করতে। তুমি কেন আবেদন করছ না? নিজের বেলা আঁটিসুটি, পরের বেলায় দাঁত কপাটি!’