তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপনে বিজেপিকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য বিজেপি। তবে জোর ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চআজ এই মামলার শুনানি চলাকালীন পর্যবেক্ষণে বলেন, 'সব বিজ্ঞাপনের লক্ষ্মণরেখা থাকা উচিত।' এই আবহে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করল ডিভিশন বেঞ্চ। তাই আপাতত বিজ্ঞাপনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকল। তবে বিজেপি সিঙ্গল বেঞ্চে গিয়ে বিজ্ঞাপনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আর্জি জানাতে পারবে বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। (আরও পড়ুন: তীরে এসে ডুবল তরী? ভোট পঞ্চমীতে বাংলার আসনভিত্তিক নির্বাচনী অঙ্ক এ🦋ল সামনে)
আরও পড়ুন: 'BJP ৩৭✅০ আসন না জিতলে...', শেয়ার বাজার নিয়ে বড় ভ🅠বিষ্যদ্বাণী প্রশান্ত কিশোরের
আরও পড়ুন: ৫ দফায় ৩১০ আসন জেতার দাবি শাহের, 'লক্ষ্যে' পৌঁছতে কোন অঙ্ক মেলাতে হবে B🌃JP-কে?
উল্লেখ্য, ‘দুর্নীতির মূল মানেই তৃণমূল’ এবং ‘সনাতন বিরোধী তৃণমূল’ স্লোগান সহ দু'টি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছিল বিজেপি। এই বিজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে তৃণমূল আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছিল, এই ধরনের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে পারবে না বিজেপি। সেইসঙ্গে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না করায় নির্বাচন কমিশনকেও ভর্ৎসনা করেছিল উচ্চ আদালত। (আরও পড়ুন: 'এটা চাকরিজীবীদের অধিকার', মামলাকারী সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফোটাল ꦉআদালত)
আরও পড়ুন: দীর্ঘ কয়েক বছরের মামলা শেষে মাথায় হাত সর♏কারি কর্মীদের, বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে ‘দুর্নীতির মূল মানেই তৃণমূল’ এবং ‘সনাতন বিরোধী তৃণমূল’ স্লোগান সহ দু'টি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছিল বিজেপি। তাতে আপত্তি তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও তার আগে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল। তবে নির্বাচন কমিশনের তরফে ব্যবস্থা না নেওয়ায় অভিযোগ তুলে শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। সেই মামলায় নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করার পাশাপাশি বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন, এই বিজ্ঞাপনের ফলে সংবিধানের ১৯ এবং ২১ ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে। পরে বিজ্ঞাপন ছাপার বিষয়েও সংবাদমাধ্যমগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গেল বেঞ্চ। সেক্ষেত্রে𒁃 প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার ১৯৯৬ সালের গাইডলাইন মেনে চলার জন্য সংবাদপত্রগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি ভট্টাচার্য। এদিকে আপাতত বিজ্ঞাপন💛 দু’টি কোনও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করতে পারবে না বিজেপি। সেই নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর বেঞ্চে আবেদন করেছিল গেরুয়া শিবির। তবে তাতে কাজ হল না। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি আজ এই মামলার শুনানি চলাকালীন বলেন, 'আদর্শ আচরণবিধি অনুযায়ী সম্পূর্ণ ভাবে পোস্টার, ব্যানার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি, বিমানবন্দরে যদি যান, দেখবেন সেখান থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবিও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতির ছবি থাকতে পারে। যে কোনও বিজ্ঞাপনের একটা লক্ষ্মণরেখা থাকা উচিত।' এই আবহে বিজেপির আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়।