ইন্ডিয়া জোটে দেশের তামাম বিরোধীরা এলেও লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বাংলায় ব্যতিক্রমী ছবি দেখা যাচ্ছে। দেশের অন্যান্য রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট করে লড়ছে। আর প্রচারে বলা হচ্ছে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী। সেখানে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের জোট হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কারও জোট হয়নি। ফলে এখানে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী বলা হচ্ছে না। মহারাষ্ট্রꦉে কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা এবং শরদ পাওয়ারের এনসিপি মহাবিকাশ আঘাড়ীর নামে ভোট চাইছে। বিহারে আরজেডি, কংগ্রেস, বাম দলগুলি ‘মহাগঠবন্ধন’–এর নামে ভোট চাওয়া হচ্ছে। তামিলনাড়ুতে ডিএমকে–কংগ্রেসের জোটের নামে ভোট চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাংলায় ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ বা বাম–কংগ্রেসের নামে ভোট চাওয়া হবে না।
বাংলায় ইতিমধ্যেই বাম–কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা হয়েছে। অধীর চৌধুরীর বহরমপুর, মহম্মদ সেলিমের মুর্শিদাবাদ বা উত্তর কলকাতায় প্রদীপ ভট্টাচার্যের জন্য বাম–কংগ্রেসের নেতারা প্রচারে নেমেছেন। কিন্তু কংগ্রেস হাইকমান্ড ও সিপিএমের পলিটব্যুরো সূত্রে খবর, এখানে বাম–কংগ্রেসের জোটের নামে ভোট না চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু তারপরও তা🧜ই হচ্ছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘বহু রাজ্যেই কংগ্রেস নেতারা নিজেদের ইন্ডিয়া মঞ্চের প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরছেন। যদিও পশ্চিমবঙ্গে সেই বিষয়টি নেই। কারণ পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস ও বামেদের মধꦬ্যে জোট হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল আলাদা লড়ছে।’
আরও পড়ুন: বিজেপি–এনআইএ যোগসাজশে ভূপতিনগরে হানꦰা, সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস
সর্বভারতীয় স্তরে আবার এই তিন দল ইন্ডিয়া জোটে রয়েছে। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের জনসভাতেও তৃণমূল কংগ্রেস যোগ দিয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের পরে প্রয়োজন অনুযায়ী জোটে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার কথাও তৃণমূল🍸 কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়েছেন। বাংলায় ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী তুলে ধরা হচ্ছে না বলেই বহু আসনে চতুর্মুখী লড়াই শুরু হতে চলেছে। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। তাই জোটের নামে ভোট চাওয়া শুরু হয়েছে বাংলায়। বাম–কংগ্রেসের জোট। আর গোটা দেশে যেখানে কংগ্রেসই প্রধান বিরোধী দল, সেখানে কংগ্রেস প্রার্থীরা নিজেদের ‘ইন্ডিয়া’ ব্লকের প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে বাড়তি সুবিধা নিতে চাইছেন।
এছাড়া উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি এবং নয়াদিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হয়েছে। কিন্𒅌তু উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস বা সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীরা নিজেদের ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের প্রার্থী হিসেবে নিজেদের তুলে ধরবেন কি না সেটা এখনও ঠিক হয়নি। ইন্ডিয়া মঞ্চকে সামনে রেখে লড়লে বিজেপি চাপে পড়বে বলেই কৌশল নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সর্বত্র তা হচ্ছে না। সুতরাং সার্বিক সাফল্য আসবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাংলার মতো অবস্থা পঞ্জাবেরও। এখানে কংগ্রেসের সঙ্গে আপের আসন সমঝোতা হয়নি। সুতরাং ইন্ডিয়া মঞ্চের প্রার্থী সর্বত্র শোনা যাবে না।