সিপিএম এবার দু’ধরণের প্রচার শুরু করল। লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটের আগে তা সামনে নিয়ে এলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়–সহ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় সিপিএমের পাঁচ মহিলা প্রার্থী। একদিকে সিপিএম নয়া প্যারোডি নিয়ে এসেছে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে বিঁধেছেন। তার জন্য রণবীর কাপুর অভিনীত অ্যানিম্যাল সিনেমার ‘জামাল কুদু’ গানের সুর ব্যবহার করেছে সিপিএম। আ♏বার দলের মহিলা ব্রিগেডকে সামনে রেখে তাঁদের ঘোষণা, সিপিএম ꧃প্রার্থীরা যেখানে নির্বাচিত হবেন, সেই লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে মহিলাদের সুরক্ষার মার্শাল আর্ট বা ক্যারাটের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মণিপুর, হাথরস, উন্নাও, সন্দেশখালির ঘটনার প্রেক্ষিতে মেয়েদের আত্মরক্ষায় তা করা হবে।
এদিকে এবারের লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের মহিলা প্রার্থী দীপ্সিতা ধর, সায়রা হালিম, সোনামণি মুর্মু টুডু, জাহানারা খান, শ্যামলী প্রধানরা অনুষ্ঠানে উপস্💙থিত হয়ে এমন কথাই তুলে ধরেছেন। সেখানে ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং রাজ্য ডিওয়াইএফআই–এর সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও। সেখানেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে নারীদের সুরক্ষায় সাংসদ তহবিলের একটা বড় অংশের অর্থ খরচ করা হবে বলে জানানো হয়। তাতে ক্যারাটে, মার্শাল আর্ট–সহ নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন মীনাক্ষী, দীপ্সিতারা। এভাবেই গড়ে তোলা হবে মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি এবং মহিলা আত্মমর্যাদা কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: ‘আসন্ন নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপা🐼ধ্যায় গুরুত্বপ♒ূর্ণ ভূমিকা নেবেন’, অকপট চিদম্বরম
অন্যদিকে বাংলার নারীদের উপর নানা অত্যাচার নেমে আসে। এগুলি শিখলে তাঁরা তা মোকাবিলা করতে পারবেন। এই বিষয়ে রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে মীনাক্ষী বলেন, ‘একজন মহিলার মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য যা যা দরকার সেই বিষয়গুলি নিশ্চিত হওয়া উচিত। আমাদের প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে সেই কাজগুলিতেই অগ্রাধিকার দেবেন।’ ঋতুকালীন মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ এবং স্বনির্ভর করে তোলার জন্য সমবায় গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন মীনাক্ষীরা। মীনাক্ষীর বক্তব্য, ‘দুটো কথা খুব পরিষ্কার— মাথা উঁচু রাখতে হবে,🧸 পায়ের তলার মাটি🍰 শক্ত রাখতে হবে। মেহনতি সাধারণ মানুষকে সামনে রেখেই তাঁদের নিয়ে এই লড়াই।’
এছাড়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পের জন্য বাংলার মহিলাদের বিপুল পরিমাণ ভোট পেয়ে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। আর সেটাকে কমব্যাট করতেই মহিলাদের নিয়ে আত্মমর্যাদা কেন্দ্র খোলার কথা বলেছেন তাঁরা। তবে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে এবার বর্ধিত অঙ্ক পাচ্ছেন রাজ্যের দু’কোটি মহিলা। যে প্রকল্পকে মডেল করেছে দেশের অন্য অনেক রাজ্যও। তাই সিপিএমও মহিলা ভোটকে পাখির চোখ করে পয়লা বৈশাখে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করল। দীপ্সিতা ধর, সায়রা হালিমদের কথায়, ‘যখন আমাদের মহিলাদের মার্শাল আর্ট শেখানোর কথা বলা হয় তখন মহিলাদের উপর অত্যাচারের দায় তাঁদের উপরই দেওয়া হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছেন, কিন্তু এতে আর্থিক ক্ষমতায়ন হলেও সামাজিক ﷺক্ষমতায়ন বা রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন হয় না।’ পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘সিপিএম নিজেরা জানে ভোটে জিতবে না। প্রচারে ভেসে থাকতে চটকদারি কথা বলেছে।’