বিজেপি প্রার্থীকে আটবার ভোট দিচ্ছেন একজনই যুবক- এমনই দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গেল। ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে ওই ভিডিয়োকে হাতিয়ার করে লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণের আগে বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী নেতারা। তাঁরা দাবি করেছেন, বিজেপি যে রিগিং করছে, সেটা প্রমাণিত হয়ে গেল। কংগ্রেস নেতা তথা রায়বরেলির কংগ্রেস প্রার্থী রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, নিজেদের হার যে অবশ্যম্ভাবী, তা বুঝেই সরকারি অফিসারদের চাপ দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিচ্ꦉছে বিজেপি। সরকারি আধিকারিকদের আল্টিমেটামও দিয়েছেন রাহুল। যদিও বিষয়টি নিয়ে আপাতত বিজেপির তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। কোনও মন্তব্য করেনি নির্বাচন কমিশন।
ভাইরাল ভিডিয়োয় কী দেখা গিয়েছে?
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী তথা সমাজবাদী পা⛎র্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) টুইট করে বলেন, 'যদি নির্বাচন কমিশনের মনে হয় যে কিছু ভুল হয়েছে, তাহলে যেন কোনও পদক্ষেপ করে। নাহলে.....। বিজেপির বুথ কমিটি আদতে লুট কমিটি। আর চাই না বিজেপি।'
ওই ভিডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস ཧবাংলা) দেখা গিয়েছে যে এক যুবক ইভিএমে গিয়ে বারবার উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদের বিজেপি প্রার্থী মুকেশ রাজপুতকে ভোট দিচ্ছেন। প্রতিবার ভোট দিয়ে রীতিমতো গর্বের সঙ্গে সেটা বলতে থাকেন। শেষপর্যন্ত তাঁকে আটবার ভোট দিতে দেখা গিয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োটা কবেকার এবং লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন সেই ভিডিয়ো তোলা হয়েছিল, তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: পবনের মতোই 'বাঙালি নারীবিদ্বেষী' ভোজপুরি গায়ককে দিয়ে প্রচার? মুখ𒁏 খুলল তৃণমূ﷽ল
বিরোধী নেতাদের আক্রমণ
ওই ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে কমিশন এবং বিজেপিকে তোপ দেগেছেন বিরোধী নেতারা। রাহুল বলেন, ‘নিজেদের হারকে সামনে দেখে জনাদেশ পালটে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করে গণতন্ত্র লুঠ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রত্যেক আধিকারিকদের কাছে কংগ্রেস আশা করছে যে সরকারের চাপে যেন সাংবিধানিক দায়িত্ব ভুলে না যান। নাহলে ইন্ডিয়ার সরকার তৈরি হওয়ার পরে এমন পদক্ষ🤪েপ করা হবে যে সংবিধানের শপথের অবমাননা করার আগে ১০ বার ভাববেন।’
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে বলেন, 'এক ব্যক্তি বুথে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীকে আটবার ভোট দিচ্ছেন। এই নির্বাচনটাকে হাস্যকর পর্যায়ে নিয়ে🐻 যাওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের লজ্জা হওয়া উচিত। আগে কখনও কোনও নির্বাচন কমিশন এরকম নির্লজ্জভাবে শাসক দলের হয়ে ব্যাট করতে নামেনি।'