ꦉ সম্প্রতি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় দিয়ে প্রায় ২৬ হাজার সরকারি শিক্ষ এবং কর্মীর চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এদিকে এই পরিস্থিতির জন্যে তৃণমূলের দুর্নীতিকে দায়ী করছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। এই সব রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন স্বয়ক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ মালদায় খগেন মুর্মু এবং শ্রীরূপা মিত্রর হয়ে প্রচার করতে এসে জনসভা ভাষণ দেন মোদী। সেখানেই তিনি বলেন, '২৬ হাজার পরিবারের সুখ কেড়ে নিয়েছে তৃণমূলের দুর্নীতি।'
꧒আজ মোদী বলেন, 'বাংলার যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। শিক্ষা ক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি করেছে যে এই রাজ্যের ২৬ হাজার পরিবারের সুখ ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের রুটিরুজির সংস্থার চলে গিয়েছে। ছে। যুব সমাজের উন্নতির সমস্ত পথ বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল।' এদিকে শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে নয়, কেন্দ্রের পাঠানো টাকা নিয়েও তৃণমূল সরকার দুর্নীতি করে বলে অভিযোগ করেন মোদী। তাঁর কথায়, 'বাংলায় ৫০ লাখেরও বেশি কৃষকদের জন্য আট হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এই রাজ্যের তৃণমূল সরকার সেই টাকা কৃষকদের হাতে পৌঁছতে দিচ্ছে না। তৃণমূলের নেতারা প্রকল্পের টাকা নিয়ে নিচ্ছে। কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্প ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। আয়ুষ্মান প্রকল্পকেও আটকে রেখেছে। মালদার আমচাষিদের জন্য অনেক পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল সেখানেও কাটমানি চাইবে।'
🌳প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সবির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান করে বলে, ২০১৬ সালে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দ্বাদশে নিয়োগ পাওয়া এসএসসি চাকরিপ্রাপকদের সবার চাকরি বাতিল হবে। পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত বলে, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি বৈধ হতে পারে না। অন্যদিকে চাকরিহারাদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে সব বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। প্রাপ্ত বেতনের ওপর ১২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে চাকরিহারাদের। এর জন্যে চাকরিহারাদের ৪ সপ্তাহ সময় দিয়েছে হাই কোর্ট। এই টাকা জেলাশাসকের কাছে জমা করতে হবে তাঁদের। পরে জেলাশাসক পরবর্তী ২ সপ্তাহের মধ্যে ওই টাকা হাই কোর্টে জমা দেবেন। পরে ২৪ এপ্রিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন।