লোকসভা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। বিজেপি বাংলায় ১২টি আসন পেয়েছে। আর তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি আসন পেয়ে গিয়েছে। দেশে এখন এনডিএ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিজেপি ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পারেনি। এই আবহে এবার মন্ত্রক বন্টনের পর মন্ত্রীদের বিশেষ বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার রাজ🗹ধানীতে বসেছিল নয়া এনডিএ সরকারের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক। সেখানে মোট ৭২ জন মন্ত্রীর পোর্টফোলিও ঘোষণা করা হয়। তারপরই নিজের ক্যাবিনেটকে একাধিক পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আসলে জোট সরকারে অনেক বাধ্যবাধকতা থাকে। তাই মেপে চলতে পরামর্শ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী।
ঠিক কী পরামর্শ দিয়েছেন? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর নয়া মন্ত্রীদের তিনটি পরামর্শ আপাতত দিয়েছেন। পরে আরও দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এক, প্রকাশ্যে অযথা মন্তব্য করা যাবে না। দুই, মন্ত্রকের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এমন কোনও ইস্যু ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে আলটপকা মন্তব্য করা যাবে না। আর তিন, সমস্ত মন্ত্রীদের সময় মেনে কাজ কর🐻তে হবে। আর তার ফলে মন্ত্রকের অফিসারদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। আসলে জোট সরকারে এই নীতি না মেনে চললে সরকারকে অনেক অসুবিধা এবং প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। আর তাই এই পরামর্শ মেনে চলতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: বাগদায় দুই বিজেপি নেতা☂র বিরুদ𝕴্ধে পড়ল ‘পোস্টার’, ‘সুদখোর’, ‘দালাল’ বিশেষণ ব্যবহার করে আক্রমণ
আর কোন পরামর্শ র🌄য়েছে? প্রথম তিনটি পরামর্শ ছাড়াও রাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সম্বন্বয় রক্ষা করে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটি পূর্ণমন্ত্রীকে। কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোচনা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রীদের দায়িত্ব ভাগ করে দেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকছে কর্মিবর্গ, জনঅভিযোগ, পেনশন মন্ত্রক। পারমাণবিক শক্তি, মহাকাশ বিভাগ মন্ত্রকও থাকছে তাঁর হাতেই। উত্তর প্রদেশের লখনউ থেকে জয়ী হন রাজনাথ সিং। গতবারের মতো এবারও পেলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব। গুজরাটের গান্ধীনগর থেকে জয়ী হন অমিত শাহ। এবারও তিনি পেলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে তার সঙ্গে সহযোগিতা মন্ত্রকও তাঁর হাতে থাকছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? নীতীন গড়কড়ি, নির্মলা সীতা𒈔রামন এবং এস জয়শংকরেরও দফতরও একই থাকছে। সড়ক পরিবহণ, অর্থ এবং বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব এই তিনজন থাকছেন। জেপি নড্ডা মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। তিনি রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। জৈবসার এবং রাসায়নিক মন্ত্রকও থাকছে নড্ডার হাতে। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহ্বান জায়গা পেয়েছেন মন্ত্রিসভায়। তিনি কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের দা🐷য়িত্বে থাকছেন। আর গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকও তাঁর হাতে থাকবে।