একসময় আরএসপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল জয়নগর। কিন্তু, সেই সময়ের পরিবর্তন ঘটেছে। লোকসভা ভোটে এবাౠর সেখানে আরএসপি প্রার্থী হয়েছেন সমরেন্দ্রনাথ মণ্ডল। কয়েকদিন হল তিনি ভোট প্রচারে নেমেছেন। কিন্তু, তাঁর প্রচার কর্মসূচিতে দলের কর্মী সমর্থকদের সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। তাতে যেমন আরএসপি প্রার্থী মেনে নিয়েছেন সেখানে পরিস্থিতি কঠিন তেমনি তৃণমূলের বিরুদ্ধেও সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্য জনসভায় আরএসপি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক নিয়েಌ বিস্ফ൩োরক সেলিম
এই জয়নগর কেন্দ্র থেকেই একসময় টানা ৮ বার জয়ী হয়েছিলেন আরএসপির সনৎকুমার মণ্ডল। ১৯৮০ সাল থেকে তিনি ৮ বারের সাংসদ ছিলেন জয়নগরের। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আরএসপি সংগঠন অনেকটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছে। সমরেন্দ্রনাথ কিছুদিন আগে বাসন্তী বিধানসভা এলাকায় প্রচারে যান। সেই কর্মসূচিতে তাঁর🐬 সঙ্গে ছিলেন হাতে গোনা কয়েকজন কর্মী সমর্থক। এদিকে, বাম-কংগ্রেস জোট হলেও আরএসপি প্রার্থীর প্রচারে কংগ্রেস নেতা কর্মীদের সেভাবে দেখা যাচ্ছে না।
এই অবস্থায় জয়নগরে লড়াইটা যে কঠিন তা মেনে নিয়েছেন আরএসপি প্রার্থী। তবে তিনি দাবি করেছেন, তাঁর চেষ্টা হল যতটা সম্ভব ভোট বাড়ানো যায়। তাঁর অভিযোগ, জয়নগরে তৃণমূলের ব্যাপক সন্ত্রাস রয়েছে। সেই কারণে তাঁর দলের অনেক কর্মী প্রচারে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। যদিও কংগ্রেস নেতাদের অনুপস্থিতি নিয়ꦿে দলের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে বামফ্রন্টকে প্রতিটি ব্লকের কংগ্রেস নেতাদের নাম ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই তারা যোগাযোগ করেছেন। তবে কাউকে ডাকেননি। যদিও কেন ডাকেননি সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছুই জানা যায়নি।
এদিকে, সন্ত্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। উল্লেখ্য, শেষবার এই আসনে আরএসপি জয়ী হয়েছিল ২০০৪ সালে। সেই সময় ৫৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন আরএসপি𝓡 ন🐷েতা সনৎকুমার। তবে ২০০৯ সালের পর থেকে সেখানে বামেদের সংগঠন দুর্বল হতে থাকে। ওই বছর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল-এসইউসি জোট জয়ী হয়েছিল। ২০১৪ সালে ৩২.৫৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল আরএসপি। আর ২০১৯ সালে আরএসপি সেখানে ভোট পেয়েছিল মাত্র ৫.০১ শতাংশ।
তবে সমরেন্দ্রনাথ আশাবাদী এবার পরিস্থিতির বদল হতে পারে। ভোট বাড়তে পরে আরএসপির। যদিও তৃণমূল🌌 বিজেপি দু দলই অবশ্য দাবি করছে,আরএসপি এখানে বিশেষ কিছু লাভ পারবে না।