সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট। নাগরিকত্ব আইন লাগু হয়েছে গোটা দেশজুড়ে। এদিকে লোকসভা ভোটের মুখে কোচবিহারের সাবেক ছিটবাসীদের মধ্যে এই সিএএকে ঘিরে জোর চর্চা। এদিকে সেই ২০১৫ সালে বাংলাদেশি ছিটমহল থেকে ভারতে এসেছিল বহু পরিবার। বহু ক্ষেত্রে না পাওয়ার যন্ত্রণা রয়েছে তাদের মধ♏্যেও। আর এই লোকসভা ভোটের মুখে তাদের সেই পাওয়া আর না পাওয়ার খোঁজ নিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
ছিটমহল বিনিময় হয়েছিল ২০১৫ সালে। বাংলাদেশি ছিটমহল থেকে ২০১৫ সালের ২২শে নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দলে দলে তৎকালীন সাবেক ছিটমহলবাসী ভারতের মাটিতে কার্যত স্বেচ্ছায় চলে এসেছিলেন। এরপর তাঁদের জন্য অস্থায়ী শিবির তৈরি করা হয়।সেখানেই ঠাঁই মিলেছিল তাঁদের। বর্তমানে দিনহাটায় ফ্ল্যাট পেয়েছﷺেন তাঁরা। কিন্তু যাঁরা ২০১৫ সালের আগেও বাংলাদেশি ছিটমহলে থাকতেন, জমিজমা, চাষ আবাদ করে যাঁদের দিন চলত তাঁদের ফ্ল্যাটবাড়িতে তাঁদের থাকতে ঠিক কেমন লাগছে?
বাংলাদেশের দাশিয়ারছড়া ছিটে থাকতেন তাঁরা। সেখান থেকে অন্তত ৫৮টি পরিবার চলে আসেন ভারতে। কে🌜ন তাঁরা ভারতে আসার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছিলেন? তাঁদের কথায়, ভারত বড় রাষ্ট্র। সেকারণেই আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখানে এসে কি তাঁরা 🉐আশাহত হয়েছেন?
সাবেক বাংলাদেশি ছিটমহলের বাসিন্দা খলিল♋ুর রহমান। বর্তমানে তিনি সাবেক ছিটবাসীদের জন্য তৈরি ফ্ল্যাটে থাকে। খলিলুর হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছি। আমরা ভারতবাসী। ভারতে থাকতে পেরে আমরা খুব খুশি। এখানে কোনও বিভেদ, দ্বন্দ্ব কিছু নেই।
তবুও এতসব কিছুর মধ্🐓য়েও মনে কোণে জমে রয়েছে ক্ষোভের মেঘ। ফ্ল্যাট পেয়েছেন। কিন্তু সেই ফ্ল্যাটের জন্য মালিকানার কাগজ পাননি তাঁরা। এমনটাই দাবি তাঁদের। এদিকে এতদিন ধরে গরু, ছাগল প্রতিপালন করেছেন তাঁরা। কিন্তু দিনহাটার ওই ফ্ল্যাটে মুরগি, ছাগল, গরু প্রতিপালেনের মতো ব্যবস্থা সেভাবে নেই। ফ্ল্যাটের বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঙর খসে পড়ছে। পানীয় জলের সুব্যবস্থা নেই।
আবার কি ম𒈔নে হচ্ছে বাংলাদেশি ছিটমহলে ফিরে যাই? খলিলুর রহমান বলেন, না বাংলাদেশে আর ফিরব না। আমরা ভারতে চলে এসেছি। এখানেই থাকব। সেই সঙ্গেই তিনি দাবি করেন, সিএএ হোক বা এনআরসি ভয় পাই না আমরা। আমরা অনেক আগেই নাগরিকত্ব পেয়েছি। এই দেশ থেকে কেউ আমাদের তাড়াবে না।
তবে এর অন্যরকম মতও রয়েছে। রঞ্জিত বর্মন নামে অপর এক সাবেক ছিটবাসী বলেন, বাংলাদেশি সাবেক ছিটমহলে থাকতাম। 💙এখানে সরকার অনেক কিছু দেবে বলেছিল💝। কিন্তু ফ্ল্যাটের কাগজও পেলাম না এতদিনে। এখন মনে হয়ে ওখানে থাকলেই মনে হয় ভালো হত।
আসলে এই দ্বিধার মাঝেই দিন কাটাচ্ছেন বাংলাদেশি সাবেক ছিটের বাসিജন্দা যাঁরা নাগ🍸রিকত্ব পেয়েছেন সেই ২০১৫ সালে।