ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। ২০১১ সালে ভারতের একদিনের বিশ্বকাপজয়ী দলে ছিলেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (কেকেআর) আইপিএল জিতিয়েছেন। আর বহরমপুরের ‘কাঁটা’ অধীর চৌধুরীকে হারাতে এবার সেই ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করল তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে অবশ্য এখনও সরকারিভাবে জানানো হয়নি যে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকেই লড়াই করবেন অধীর। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যেౠ যে তৃণমূল ও কংগ্রেস জোট হচ্ছে না, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে কংগ্রেসের একা লড়াই করার সম্ভাবনাই বেশি। বড়জোর বামেদের সঙ্গে জোট করতে থাকে। সেটা যাই হোক না কেন, বহরমপুর থেকে🔜 প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরকেই টিকিট দেবে শতাব্দীপ্রাচীন দল।
কিন্তু আচমকা ইউসুফকে কেন বহরমপুরের মতো আসনে দাঁড় করানোর পথে হাঁটল তৃণমূল? সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সেই সিদ্ধান্তের এক ও একমাত্র কারণ হলেন অধীর। তৃণমূলের শীর্ষ মহল খুব ভালোভাবেই জানে যে বহরমপুরে অধীরের বিরুদ্ধে কোনও রাজনৈতিক প্রার্থী দিলে𝓰 খুব একটা সুবিধা করা যাবে না। রাজনীতিবিদ হিসেবে অধীরের আলাদাই একটা ‘এক্স’ ফ্যাক্টর আছে। সেটা আজ তৃণমূলের জনগর্জন সভা থেকেও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। অধীরের নাম আলাদাভাবে নেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অর্থাৎ অধীরের 🍌রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জোর যে কতটা, তা সেটা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের মত। আর সেজন্যই এমন একজনকে বহরমপুরে তৃণমূল 🍬দাঁড় করিয়েছে, যাঁর সঙ্গে অধীরের কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের তুলনা করা যাবে না। বরং ইউসুফের ক্রিকেটীয় ক্যারিশমা এবং জনপ্রিয়তাকে হাতিয়ার করে অধীরের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে মাত দেওয়ার ছক কষেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'আপনারা না ܫজেতালে গর্জন বেরোবে কোথা থেকে!' বিজেপি বিসর্জনের ডাক মমতার
সেইসঙ্গে তৃণমূলের ন﷽জরে আছে সংখ্যালঘু ভোট। রা🦩জনৈতিক মহলের মতে, ইউসুফকে দাঁড় করানোর ফলে তৃণমূলের ঝুলিতে আসতে পারে সংঘ্যালঘু ভোট। চিকিৎসক নির্মলকুমার সাহার ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে সংখ্যালঘু ভোট টানার যে কৌশল নিয়েছিল বিজেপি, সেটাও ধাক্কা খাবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত।
আরও পড়ুন: Mamata at Janagarjan Sabha: টাকাই তো দেওনি তো খাব𓃲েটা কোথা থেকে? ব্রিগেড🔯ে আক্ষেপ মমতার
রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের মতে, তৃণমূল সম্ভবত ‘পরীক্ষামূলকভাবে’ ইউসুফকে দাঁড় করিয়েছে। যদ💖ি প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার জেতেন, তাহলে তৃণমূলের কাছে বোনাস হবে সেটা। আর যদিও হেরে যায়, তাহলেও খুব একটা বেশি হতাশ হবে না তৃণমূল। কারণ বহরমপুর যে অত্যন্ত কঠিন আসন, তা তৃণমূল খুব ভালোভাবেই জানে।