আজ রাজস্থানের ২০০টি বিধানসভা আসনের ১৯৯টিতে ভোটগ্রহণ। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এই নির্বাচন। শ্রীগঙ্গানগর আসনের বিদায়ী বিধায়ক তথা কংগ্রেস প্রার্থী গুরমীত সিং কোনারের মৃত্যুর জেরে সেই আসনে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই রাজস্থানে লাগাতার দু'বার কোনও দল ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি। এর আগে ২০১৮ সালে ম্যাজিক ফিগার থেকে মাত্র ১টি আসন কম পেয়েছিল কংগ্রেস। তাদের ঝুলিতে গিয়েছিল ১০০টি আসন। বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ৭৩টি আসন। এই আবহে 'ট্রেন্ড' বজায় রেখে ক্ষমতা পুনর্দখলের আশায় বিজেপি। এর নেপথ্যে আছে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব, গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সহ একাধিক বিষয়। তবে কংগ্রেসও আশা ছাড়তে নারাজ। আর তাদের অন্যতম বড় হাতিয়ার ওপিএস। যে মন্ত্রে হিমাচলের ভোট বৈতরণী পার করেছিল হাত শিবির। আর রাজস্থানের নির্বাচনই স্থির করে দিতে পারে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ওপিএস বড় ইস্যু হবে কি না। (আরও পড়ুন: 📖অবশেষে বাড়তে চলেছে ডিএ, ডিসেম্বরে যেকোনও দিন আসতে পারে সুখবর)
ܫএর আগে প্রচারের শেষ লগ্নে জয়পুরে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ওপিএস ফেরানো প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেখানে শাহ বলেছিলেন, 'এ বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পেনশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।' আর এরই জবাবে শাহকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি অশোক গেহলট। এর আগে সম্প্রতিককালে এক সাক্ষাৎকারে অমিত শাহকে ওপিএস নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, 'সরকারি কর্মচারীরা পুরনো পেনশন স্কিম ফিরিয়ে আনার দাবি করছেন। তবে এটি ফেরানোর আগে, আমাদের দেখতে হবে যে সরকারের কাছে কত টাকা আছে। বাজেটের সীমাবদ্ধতার দিকেও নজর দিতে হবে।' তবে তিনি ওপিএস ফেরানো দাবি পুরোপুরি উড়িয়ে দেননি সেবারও। আর রাজস্থানেও সরাসরি 'হ্যাঁ' না বললেও বিষয়টিকে কমিটির আড়ালে ঠেকিয়ে রাখেন শাহ।
🉐এদিকে শাহের মন্তব্যের পর অশোক গেহলট একটি সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় লেখেন, 'কংগ্রেস ওপিএস গ্যারান্টি দেয়। আর বিজেপি একটি কমিটির প্রস্তাব করে। এটাই কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে, গ্যারান্টি এবং কমিটির মধ্যে পার্থক্য। শাহজি, আমাদের কমিটমেন্ট দরকার, কমিটি নয়। আমরা গ্যারান্টি দিচ্ছি যে এখন যখন এখানে ওপিএস বাস্তবায়িত হয়েছে, তখন আমরা একটি আইন প্রণয়ন করে এটিকে স্থায়ী করব। এটাই জনগণের সিদ্ধান্ত।' উল্লেখ্য, রাজস্থানে ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে ওপিএস। এই আবহে সরকারি কর্মীদের আশ্বস্ত করে কয়েকদিন আগেই বড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। গেহলটের প্রতিশ্রুতি, ওপিএস যাতে রাজ্যে জারি থাকে, তার জন্য আইন আনা হবে। তিনি বলেছিলেন, 'যদি বিজেপি রাজস্থানে সরকারে আসে তাহলে ওপিএস তুলে দেবে। আমরা নতুন সরকার গঠন করলে বিধানসভায় এমন আইন আনব যাতে ওপিএস কখনও তোলা না যায়।' এই আবহে ওপিএস বনাম এনপিএস-এর এই লড়াই ভোটবাক্সে কতটা প্রভাব ফেলে, এখন সেদিকেই নজর অনেকের। আর এই ওপিএস ইস্যু যদি শেষ পর্যন্ত বিজেপির গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও এটিকে হাতিয়ার করতে চাইবে বিরোধীরা।