জমে উঠল মেঘালয় নির্বাচন শেষ ল্যাপের প্রচার। যে কংগ্রেস ভাঙিয়ে মেঘালয়ে শক্তিশালী হয়েছে কংগ্রেস, সেই মেঘালয়তে গিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের 'আসল রূপ' তুলে ধরলেন রাহুল গান্ধী। পশ্চিমবঙ্গের উদাহরণ তুলে ধরে মেঘালয়বাসীকে তৃণমূলের থেকে 'সাবধান' করে দিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। আজ মেঘালয়তে গিয়ে এক জনসভায় রাহুল গান্ধী বলেন, 'আপনারা তৃণমূল কংগ্রেসের ইতিহাস জানেন। আপনারা জানেন যে বাংলায় কী ধরনের সহিংসতা হয়...আপনারা তাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানেন। তারা গোয়ায় গিয়েছিলেন এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছেন। কারণ তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিজেপিকে সাহায্য করতে হবে। মেঘালতেও তৃণমূলের উদ্দেশ্য, বিজেপি যাতে ক্ষমতায় আসে, তা নিশ্চিত করা।' (আরও পড়ুন: 'সর🔯কারি কর্মীরা ভালো থাকꦺলে...', ডিএ আন্দোলনের মাঝেই বড় বার্তা মমতার)
এদিকে আজক🧸েই মেঘালয়ে ভোট প্রচারে গিয়েছেন মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আজ প্রচারে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই বিজেপি, কংগ্রেস-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক বিরোধীদের আক্রমণ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর সাফ কথা, মেঘালয়ের উন্নতি যদি করতে হয় তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। একইসঙ্গে কংগ্রেসের ভোট চাওয়ার অধিকার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, কংগ্রেস মেঘালয়ের মানুষের উন্নতির জন্য কিছু করে না। অথচ, ভোটের সময় ভোট চাইতে আসে। এদিকে এছাড়া কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলিকে আজ নিশানা করেছেন অভিষেকও। তাঁর দাবি, বিজেপিকে একমাত্র হারাতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি বলেন, 'তৃণমূলেই একমাত্র দল যারা বিজেপির কাছে বশ্যতা স্বীকার করেনি। আমরা মেরুদণ্ড সোজা রেখেছি।' তাঁর বার্তা, দিল্লি, গুয়াহাটি বা গুডরাটের কাছে নিজেকে বিকিয়ে দেওয়া রাজনীতিবিদদের সরকার য🔯েন রাজ্যে না গড়া হয়।
মেঘালয় বিধানসভায় ৬০টি আসন আছে। এখানে সরকার তৈরি করতে ম্যাজিক ফিগার ৩১। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ওই রাজ্যে তৃণমূ🧔লের কোনও অস্তিত্বই ছিল না। কিন্তু একবছর আগে ওই রাজ্যের রাজনীতির পটভূমিতে বড় পরিবর্তন ঘটে। ২০১৮ সালে যে মুকুল সাংমাকে সামনে রেখে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস লড়ে 'সেকেন্ড বয়' হয়েছিল, সেই মুকুল কংগ্রেস ভাঙিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর সেই রাজ্যে এখন তৃণমূলই প্রধান বিরোধী দল। এদিকে আপাতত কংগ্রেসের কোনও বিধায়কই নেই সেই রাজ্যে। এই আবহে মেঘালয়ে কংগ্রেসের কাছে এটা অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। আর তৃণমূলের কাছে এটা ক্ষমতা দখলের লড়াই।