হরিয়ানায় বিজেপির ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পেল। দেশের সবচেয়ে ধনী মহিলা প্রার্থী সাবিত্রী জিন্দাল বিজেপিকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছেন। তিনি নির্দল হিসেবে ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। এছাড়া, আরও দুজন নির্দল প্রার্থী বিজেপিকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছেন। তারফলে হরিয়ানায় বিজেপির আসন সংখ্যা বেড়ে হতে চলেছে ৫১টি। প্রসঙ্গত, ৯০ সদস্যের হরিয়ানা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৪৬টি আসন। সেই জায়গায🐈় বিজেপি জয়ী হয়েছিল ৪৮ টি আসনে। কংগ্রেস ৩৭ টি আসন জিতেছিল। তবে আরও তিনজন জয়ী নির্দল প্রার্থী বিজেপিকে সমর্থন করায় স্বাভাবিকভাবে হ🌊রিয়ানা বিধানসভায় বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি পেল।
আরও পড়ুন: গুরুগ্রামে জয়জয়কার বিজেপির, চারটি আসনেই ফুটল পদ্ম
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব সাবিত্রী জিন্দালের সঙ্গে দꦅেখা করেন। তারপরই বিজেপিকে সমর্থন করতে সম্মত হয়েছেন সাবিত্রী দেবী। তাঁর সঙ্গে অন্য দুই নির্দল প্রার্থী ইতিমধ্যে বিজেপিকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেছেন। ক্ষমতায় টিকে থাকতে গেলে বিজেপির এই সংখ্যাবৃদ্ধি প্রয়োজন ছিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও বুথ ফেরত সমীক্ষায় এবার হরিয়ানায় কংগ্রেস সরকার গড়বে বলেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। তবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হতেই ছবি একেবারে বদলে যায়। ৩৭ এ থেমে যায় কংগ্রেসের আসন সংখ্যা। যদিও এই ফলাফলে সন্তুষ্ট নয় কংগ্রেস। তারা গণনা প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে।
এদিকে, সাবিত্রী জিন্দাল হলেন বিজেপির কুরুক্ষেত্রের সাংসদ নবীন জিন্দালের মা। সাবিত্রী জিন্দাল তাঁর শক্ত ঘাঁটি হিসার থেকে বিজেপির কমল গুপ্তার বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন। হিসারে এর আগে তাঁর প্রয়াত স্⛦বামী শিল্পপতি ওপি জিন্দাল প্রতিনিধিত্ব ൩করেছিলেন।
উল্লেখ্য, সাবিত্রী জিন্দাল এর আগে হিসার আসন থেকে দুবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৫ সালের প্রথমবার তিনি কংগ্রেসের টিকিটে এই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন। পরে ২০০৯ সালে তিনি পুনরায় জয়ী হয়েছিলেন। এছাড়াও, ২০১৩ সালে তিনি মন্ত্রীও হয়েছিলেন। তবে চলতি বছরের লোকসভা ভোটের আগে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে দেন। তাঁর ছেলে নবীন জিন্দালও কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে এবং কুরুক্ষেত্র আসন থেকে লড়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। অন্যদিকে, নির্দল বিধায়ক দেবেন্দর কাদিয়ান এবং রাজেশ জুন কেন্দ💯্রীয় মন্ত্রী এবং হরিয়ানার ইনচার্জ ধর্মেন্দ্র প্রধানের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন।