অলিম্পিকের ম্যাটে জিতেও হারতে হয়েছিল। ফাইনালে উঠেও নিয়মের ফেরে অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া হয়েছিল। তবে সেই হতাশা দূরে রেখে রাজনীতির ময়দানে নেমেছিলেন কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগাট। আর অলিম্পিকের ব্যর্থতাকে পিছনে ফেলে রেখে ভোটে জিতলেন ভিনেশ ফোগাট। হরিয়ানার জুলানা আসন থেকে ৬ হাজারের ব্যবধাবে বিজেপির প্রার্থীকে হারালেন ভিনেশ। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবলাইট অনুযায়ী, ভিনেশ এই আসনে ভোট পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮০। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির যোগেশ কুমার পান ৫৯ হাজার ৬৫টি ভোট। আইএনএলডির সুরেন্দর লাথার এই আসনে ১০ হাজার ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন। আর দুষ্মন্ত চৌটালার জেজেপি এবং আম আদমি পার্টি যথাক্রমে চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে ছিল সেখানে। (আরও পড়ুন: মলদ্বী�꧟�পকে ৬৩০০ কোটির সাহায্য ভারতের, মোদী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতায় গদগদ মুইজ্জু)
আরও পড়ুন: ১৩০০০ ইন্টার্নশিপের অফার TCS, L𓂃&T সহ ৫০ কর্পোরেট সংস্থার, ঘনিয়ে আসছে আবেদনের দিন
উল্লেখ্য, দুপুর দেড়টার সময় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া ফল অনুযায়ী, বিজেপি এগিয়ে বা জিতেছে ৫০টি আসনে। কংগ্রেস এগিয়ে বা জয়ী ৩৫ আসনে। এদিকে আইএনএলডি এগিয়ে ১টি আসনে। বিএসপি এগিয়ে ১ আসনে। নির্দলরা এগিয়ে ৩টি আসনে। আর দুষ্মন্তের জেজেপি প্রায় নিশ্চিহ্ন হরিয়ানা থেকে। এদিকে প্রাথমিক ভাবে ঝড় তুলে কংগ্রেস হারলেও ভিনেশের জয় দলের জন্যে বড় স্বস্তির বার্তা বয়ে আনবে। অলিম্পিকে ফাইনালে উঠেও নিয়মের ফেরে পদক হাতছাড়া হয় কুস্তিগির ভিনেশ ফোগাটের। প্যারিস থেকে দেশে ফিরে কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি আবার রাজনীতিতে যোগ দেন। হরিয়ানা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে জুলানা থেকে প্রার্থী হন তিনি। সেই আসন থেকে সকাল থেকেই এগিয়ে আছেন ভিনেশ। এর আগে মাঝখানে তিনি পিছিয়েও পড়েছিলেন। উল্লেখ্য, অলিম্পিকের আগে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন ভিনেশরা। পরে প্রচারের সময় তিনি দাবি করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁকে ফোন করেছিলেন প্যারিসে। তবে তিনি তাঁর সঙ্গে কথা বলেননি। বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর এই আক্ররমণাত্মক অবস্থান শুধু হরিয়ানা নয়, বাকি দেশেও কাজে লাগাতে পারে কংগ্রেস। (আরও পড়ুন: টাকার অভাব বলেও চলতি বছরে ৪ বিধানস♐ভা ভোটে ৫৮৫ কোটি খরচ কংগ্রেসের!)
আরও পড়ুন: গণনা শেষের আগে হার মানলেন মেহবুবার মেয়ে, কুলগামে ফের লাল ঝ﷽ান্ডা ওড়ালেন ত𝓡ারিগামি
এদিকে হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস প্রার্থী ভূপেন্দ্র সিং হুডা এগিয়ে আছেন গারহি সাম্পলা-কিলোই থেকে। এবার হরিয়ানায় কংগ্রেস জিতলে তিনি ফের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন বলে মনে করা হচ্ছিল। এর আগের ভোটে কংগ্রেস হারলেও হুডা নিজের আসনে জয়ী হয়েছিলেন। এই আবহে তিনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতা ছিলেন। লোকসভা ভোটের﷽ আগে ২০২৪ সালের মার্চ মাসেই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী বদল করেছিল বিজেপি। মনোহরলাল খট্টরের জায়গায় গদিতে বসেছিলেন নায়েব সাইনি। এরপর নানান ঝড়ঝাপটার মাঝেও সরকার টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। এবারের নির্বাচনে দলের হাল খারাপ হলেও নায়েব সকাল থেকে নিজের আসনে এগিয়ে আছেন। এদিকে হরিয়ানার বিদায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ পিছিয়ে পড়েছিলেন আম্বালা ক্যান্টনমেন্ট থেকে। এরপরে মাঝে এগিয়েও গিয়েছিলেন তিনি। তবে ফের কিছু ভোটের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। এদিকে হরিয়ানার প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালা নিজের আসনে প্রথম তিনজনের মধ্যেও নেই।