আমতায় তৃণমূল প্রার্থী সুকꦯান্ত পাল ২৬ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হলেন।
এই বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন সুকান্ত পাল। এই কেন্দ্রে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন দেবতনু ভট্টাচার্য। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কে▨ন্দ্রে দাঁꦓড়াচ্ছেন কংগ্রেসের অসিত মিত্র।
হাওড়া জেলায় পোড়ামাটির কারুকার্য—সহ অনেক প্রাচীন মন্দিরের অস্তিত্ব রয়েছে। প্রাচীন জৈন, বৌদ্ধ বা হিন্দু সাহিত্যে হাওড়া অঞ্চলের সুনির্দিষ্ট উল্লেখ নেই। গ্রিক বা চিনা লেখকদের রচনায় এই অঞ্চলের কোনও বিবরণ পাওয়া যায় না। তবে গবেষকদের ধারণা, প্রাচীনকালে𓆉 রাঢ়ের অন্তর্গত সুহ্ম অঞ্চলের দক্ষিণাংশ হাওড়া ও অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা নিয়ে গঠিত ছিল।
প্রাচীনকালে এই হাওড়া জেলায় ছিল ভুরশুট রাজ্য। এটি ছিল অধুনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া ও হুগলি জেলার অন্তর্গত একটি প্রাচীন ও মধ্যযুগ๊ীয় রাজ্য। রাঢ় অঞ্চলের দক্ষিণাঞ্চলে ভুরশুট রাজ্যটি স্থাপিত হয়েছিল। এই রাজ্যের অধিবাসীরা ‘ভুরিশ্রেষ্ঠী’ নামে পরিচিত ছিল। এরা ছিল মূলত বণিক। এদের নামানুসারেই রাজ্যের নামকরণ হয় ‘ভুরশুট’।
যদিও সম্ভবত ভুরশুটই ছিল রাঢ়ি ব্রাহ্মণদের মূল বসত এলাকা ছিল। পাল সাম্রাজ্যের উত্থানের সময় কোনও এক সুর রাজা এই রাজ্য শাসন করতেন। একাধিক সামন্ত রাজা এই রাজ্য শাসন করেছিলেন। এই রাজ্যের রানি ভবশংকরী ছ🦋িলেন এক বীর রমণী যিনি সম্রাট আকবরের কাছ থেকে রায়বাঘিনী উপাধি পান। ধীবর রাজবংশের (সম্ভবত চতুর্দশ থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী) লোককথায় এই রাজ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়। এরপর কোনও এক ব্রাহ্মণ রাজবংশ এই রাজ্য শাসন করেছিল। দক্ষিণ রাঢ়ের ভূরিশ্রেষ্ঠিক নামক অঞ্চলটিও বর্তমান হাওড়ার আমতা-উদয়নারায়ণপুর-ডিহি ভুরশুট অঞ্চলে অবস্থিত ছিল। অনুমান করা হয়, অষ্টম থেকে দশম শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে বর্তমান হাওড়া অঞ্চলের ভূরিশ্রেষ্ঠ (অধুনা ভুরশুট) ছিল একটি সমৃদ্ধ বাণিজ্যনগরী। আমতা হাওড়া জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। ৬ এপ্রিল আমতায় ভোটগ্রহণ।
সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১৮১ নম্বর আমতা বিধানসভা কেন্দ্রটি আমতা-🃏২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এবং বাইনান,বক্সিরহাট,কল্যাণপুর ও সাবসিত গ্রাম পঞ্চায়েত যুক্ত হয়। এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত বাগনান-১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অংশ ছিল। আমতা বিধানসভা কেন্দ্র ২৬ নম্বর উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী অসিত মিত্র জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮৯,১৪৯। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী তুষারকান্তি শীল৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৮৪,৬৪৫৷ কং🍸গ্রেস প্রার্থী অসিত মিত্র তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী তুষারকান্তি শীলকে ৪,৫০৪ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।