করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি। বঙ্গে ভোট চলছে। তবে কোপ পড়েছে নির্বাচনী প্রচারে। যাকে বলা হচ্ছে ক্যাম্পেন কার্ফু। তারপরও ঠেকানো যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণ। এই সংক্রমণে মারা যাচ্ছেন অনেক প্রার্থী। আক্রান্ত হচ্ছেন প্রার্থীরা। এমনকী এখন নির্বাচন কমিশনেও তাবা বসিয়ে দিয়েছে করোনাভাইরাস। তাই রাজনৈতিক দলগুলি বড় সভা–সমাবেশ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। ব্যতিক্রম বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে অভিনব উদ্যোগ নিতে চল✱েছে সিপিআইএম। এখন তাদের সঙ্গে জোটে রয়েছে কংগ্রেস এবং আইএসএফ। নেটমাধ্যমে অভিনব কৌশলে প্রচারের আয়োজন করেছে দলের ডিজিটাল শাখা। কিন্তু ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম দফার ভোটে ভোটারদের আরও কাছে পৌঁছে যেতে বিকল্পের সন্ধান শুরু করেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সূত্রের খবর, ভোটারদের কাছে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের জন্য ভোট চেয়ে এসএমএস এবং হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পাঠানোর ভাবনায় রয়েছে সিপিআইএম। রাত পোহালেই বৃহস্পতিবার রাজ্যে ভোট–ষষ্ঠী। তাই ঠিক হয়েছে, সপ্তম ও অষ্টম দফার ভোটে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থཧীদের হয়ে হোয়াটসঅ্যাপ এবং এসএমএস বার্তা মারফত ভোট চাওয়া হবে।
দলীয় সূত্রে খবর, করোনাভাইরাসের সংক্রমণܫের কারণে নেটমাধ্যমে যেভাবে প্রচার চলছে তা চলবে। আর প্রার্থীদের হয়ে ভোট চাইতে সরাসরি ম♊োবাইলে বার্তা যাবে। তা কোন বয়ানে লেখা থাকবে সেটার খসড়া পৌঁছেছে সিপিআইএম ডিজিটাল টিমের কাছে। সে খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে। সপ্তম এবং অষ্টম দফায় মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং কলকাতায় ভোট। এই সমস্ত জেলার বাছাই করা বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতেই এভাবে প্রচার হবে।
এই বিষয়ে সিপিജআইএমের ডিজিটাল টিমের এক প্রতিনিধি জানান, করোনাভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের জন্য মানুষের স্বার্থে ‘বৃহত্🍸তর দায়বদ্ধতা’ নিয়ে প্রচারই প্রায় বন্ধ করেছেন বামপন্থীরা। নেটমাধ্যমে ও ভোটারদের সরাসরি বার্তা পাঠানোর কৌশল ঠিক করা হয়েছে। সেই বিষয়ে জোট শরিকদের সঙ্গেকথাও হয়েছে। তাঁরা সহমত পোষণ করেছেন। ভোটের লড়াইয়ে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীরা যাতে পিছিয়ে না পড়েন, তাই এসএমএস এবং হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানোর ভাবনা।