এই কেন্দ্রে এবারে তৃণমূলের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রিয়া পাল। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন🔯 প্রভাকর পণ্ডিত। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের সমীর মালিক। সাঁকরাইল বিধানসভা কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষি🍨ত।
বাগনান, শ্যামপুর, জগৎবল্লভপুর ইত্যাদি কয়েকটি থানার কয়েকটি গ্রামে খননকার্য চালিয়ে সামান্য কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া অন্যান্য জেলার মতো হাওড়া জেলাতেও পোড়ামাটির কারুকার্য—সহ অনেক প্রাচীন মন্দিরের অস্তিত্ব রয়েছে। প্রাচীন জৈন, বৌদ্ধ বা হিন্দু সাহিত্যে হাওড়া অঞ্চলের সুনির্দিষ্ট উল্লেখ নেই। গ্রিক বা চৈনিক লেখকদের রচনাতেও এই অঞ্চলের কোনও বিবরণ পা🌺ওয়া যায় না। তবে গবেষকদের ধারণা, প্রাচীনকালে রাঢ়ের অন্তর্গত সুহ্ম অঞ্চলের দক্ষিণাংশ হাওড়া ও অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা নিয়ে গঠিত ছিল।
প্রাচীনকালে এই হাওড়া জেলায় ছিল ভুরশুট রাজ্য। এটি ছিল অধুনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া ও হুগলি জেলার অন্তর্গত একটি প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় রাজ্য। রা꧟ঢ় অঞ্চলের দক্ষিণাঞ্চলে ভুরশুট রাজ্যটি স্থাপিত হয়েছিল। এই রাজ্যের অধিবাসীরা ‘ভুরিশ্রেষ্ঠী’ নামে পরিচিত ছিল। এরা ছিল মূলত বণিক। এদের নামানুসারেই রাজ্যের নামকরণ হয় ‘ভুরশুট’।
ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে ১৭৪ নম্বর সাঁকরাইল বিধানসভা (তফসিলি জাতি) কেন্দ্রটি গঠিত হয়েছে নিম্নলিখিত গ্রামপঞ্চায়েতগুলি যেমন, আন্দুল,বানপুর-১,বানপুর-২,দক্ষিণ সাঁকরাইল, ধুলাগড়ী, কান্ডুয়া, মানিকপুর, মাশিলা, নলপুর, রঘুদেববাটি, সাঁকরাইল, সারেঙ্গা সাঁকরাইল সিডি ব্লকের অন্তর্গত ও কলোরা-১, কলোরা-২ﷺ, মাহিয়াড়ী-১, মাহিয়াড়ী-২ গ্রামপঞ্চায়েতগুলি ডোমজুর সিডি ব্লকের অন্তর্গত।সাঁকরাইল বিধানসভা কেন্দ্রটি ২৫ নম্বর হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শীতলকুমার সর্দার জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল 🦩৮৬,২১২৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী সমীর মালিক। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৭১,৪৫৫৷ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শীতলকুমার সর্দার তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থী সমীর মালিককে ১৪,৭৫৭ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।