বেলা গড়াতেই হেস্টিংসে বিজেপির অফিস ফাঁকা হয়ে গেল। অর্থাৎ সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন ফেরি করা হয়েছিল তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং হুগলি ভালো ফলের আশা করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু ওই তিন জেলার ভোট প্রবণতায় তৃণমূল কংগ্রেস ভালো ফল করছে। তবে নন্দীগ্রানে কী হবে? ওখানে তো পিছিয়ে পড়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বন্দ্যಌোপাধ্যায় জানান, ‘সময় গড়ালে নন্দীগ্রামে এগিয়ে যাব’।
এখানে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘মাননীয়াকে হাফ লাখ ভোটে হারাব। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ট্যাম্প তৈরি করে রাখুন।’ সেখানে দেখা গেল সকাল থেকে এগিয়ে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু মমতার প্রতিক্রিয়া আসার পরপরই দেখা যায় নন্দীগ্রামে এগিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর সেটা যদি শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা যায়, তাহলে হাফ লাখ ভোটে হা🍎রানো গেল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
যদিও কালীঘাটের বাড়ি থেকে কর্মীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর জয় নিয়ে সংশয়ের কোনও কারণ নেই৷ গোটা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস যেমন ভাল ফল করছে, নন্দীগ্রামেও জয়ী হবো৷ কোনওভাবেই হাল ছাড়া চলবে না৷ যে আসনগুলিতে দল পিছিജয়ে, সেখানেও শেষ পর্যন্ত গণনা কেন্দ্রে থাকতে হবে৷’ সুতরাং তিনি আশাবাদী একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়ছেন তিনি। তবে নন্দীগ্রামে ১ হাজার ৪২৭ ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন মমতা। এখনও বহু রাউন্ড বাকি।