বিধানসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর দলের শীর্য রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য। রবিবার সন্ধ্যায় এক টেলিভিশন চ্যানেলে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ত൲িনি। যার জেরে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে সরব হয়েছে দলের একাংশ।
রবিবার বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা♏র পর দেখা যায় রাজ্যে মাত্র ১টি আসন জিতেছে সংযুক্ত মোর্চা। বাম বা কংগ্রেস কোনও আসনই পায়নি। একটি মাত্র আসন পেয়েছে জোটসঙ্গী ISF. আর তার পরই হারের জন্য দলীয় নেতৃত্বকে সরাসরি কাঠগড়ায় 👍তোলেন তন্ময়বাবু।
তিনি বলেন, ‘দলীয় নেতৃত্বের একাংশ বলে আমরা ভোটে হারজিত নিয়ে চিন্তিত 🌞নই। আমরা রাস্তায় আছি। আমাদের দল সংসদীয় রাজনীতিকে গ্রহণ করেছে। সেখানে হারজিতের ওপরেই প্রাসঙ্গিকতা নির্ভর করে। যে নেতারা রাস্তায় থাকার কথা বলতেন তাদের হাতে একটা ফুটো বাটি ধরিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে জনতা।’
তন্ময়বাবুর দ🐠াবি, দলের কয়েকজন পলিটব্যুরো সদস্য ♌ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো করে দল পরিচালনা করেন। তাঁরা মানুষের চাহিদার কথা না জেনেই তাদের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন। এভাবেই কংগ্রেস ও আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে জোট চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে দলীয় কর্মীদের ওপর।
তিনি বলেন, ‘এই হারের দায় আমার বা অন্য কোনও বাম প্রার্থীর নয়। সার্বিকভাবে বামেদের প্রত্যাখ🔯্যান করেছে মানুষ। তাই এই বিপর্যয়ের দায় নিতে হবে দলের শীর্ষনেতৃত্বকে। লোকসভা নির্বাচনে যারা দলকে শূন্য করেছে তারা কোনও দায় নেয়নি। এবার বিধানসভাতেও দল শূন্য হয়েছে। এবার একথা – সেকথা বলে দ🐓ায়িত্ব এড়ালে চলবে না।’
তন্ময়বাবুর আরও দাবি, যে দল বলে ২১,০০০ মাসিক বেতনের নীচে সংসার চালানো যায় না তারা নিজের পার্টির সর্বক্ষণের কর্মীদের ৫০০০ টাকা ভাতা দেয় কী করে? সর্বক্ষণের কর্মীদে🥀র তো অন্য কোনও উপার্জন নেই। তাহলে এই সামান্য টাকায় তারা সংসার চালাবে কী করে? তাদের🦋 কি ক্ষিদে কম পায়? তন্ময়বাবু বলেন, ‘শৃঙ্খলাপরায়নতার নামে এসব প্রশ্ন দলীয় নেতৃত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না’।
দলের রাজ্য নেতৃত্বের অন্যܫতম তন্ময়বাবু নিজেও। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তিনি। ২০১৬-র নির্বাচনে উত্তর দমদম কেন্দ্রে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মতো হেভিওয়েটকে হারিয়েছিলেন তন্ময়বাবু। এবার তাঁর কাছেই হারের♏ মুখ দেখতে হয়েছে বিদায়ী বিধায়ককে।
প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় সোশ্যাল সাইটে তন্ময়বাবুর🧸 বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দ🍬ায়ে পদক্ষেপ করার দাবি তুলেছেন সিপিএম নেতা – কর্মীদের একাংশ।